১৪ মে থেকে কুয়েত প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা

দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১৪ মে কুয়েতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য চালু হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট সেবা। কুয়েত প্রবাসীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই পাসপোর্ট কার্যক্রমের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এনআইডি তথা জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে অনলাইন জন্মনিবন্ধনের ইংরেজি সনদ দেখিয়ে আবেদন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো কাগজপত্র সত্যায়িত করা লাগবে না।
আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। www.epassport.gov.bd এই লিংকে গিয়ে আবেদন করা যাবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকল তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট দেখাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র, ড্রাইভার ও শ্রমিকদের ই-পাসপোর্ট তৈরিতে খরচ ৫ বছর মেয়াদি হলে ৯ দশমিক ৫ দিনার। ১০ বছর মেয়াদি হলে ১৫ দশমিক ৫ দিনার। তবে জরুরিভাবে করলে ৫ বছর মেয়াদি ১৪ দিনার, ১০ বছর মেয়াদি ২৩ দশমিক ৫ দিনার খরচ হবে।
অন্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৩১ দিনার, ১০ বছর মেয়াদি হলে ৩৮ দশমিক ৫ দিনার। তবে জরুরিভাবে করলে ৫ বছর মেয়াদির জন্য খরচ হবে ৪৬ দশমিক ৫ দিনার এবং ১০ বছর মেয়াদি ৫৪ দিনার।
ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত কুয়েত প্রবাসীরা। কুয়েত প্রবাসী সাইফ রুবেল বলেন, কুয়েতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হবে খুব শিগগির। এটা কুয়েতে বসবাসরত সব প্রবাসীর জন্য খুব আনন্দের। কেননা কুয়েতের আইন অনুযায়ী একামা লাগাতে হলে পাসপোর্টের মেয়াদ এক বছর থাকতে হবে, যেটা পুরোনো পাসপোর্টে আমাদের জন্য ভোগান্তি ছিল। নতুন ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট হলে এই ভোগান্তির অবসান হবে।
আরেক প্রবাসী আল মামুন হৃদয় বলেন, ই-পাসপোর্ট পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। আগের পাসপোর্টের কারণে আমাদের দীর্ঘ সময় ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়াতে হতো। কিন্তু ই-পাসপোর্ট চালু হলে আমরা ই-গেট ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ে ইমিগ্রেশন পার হতে পারবো। এতে করে প্রবাসের মাটিতে পাড়ি দিতে আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
কেএসআর/