ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় যেভাবে অজু করবেন

ক্ষতস্থানে বাঁধা ব্যান্ডেজ অজু-গোসলের জন্য খোলা যদি সহজ না হয়, ব্যান্ডেজ খুলে ধোয়া যদি ক্ষতিকর হয় বা ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে অজু ও ফরজ গোসলের সময় ব্যান্ডেজ বাঁধা জায়গা ধোয়ার পরিবর্তে ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করা জায়েজ।
এ রকম ক্ষেত্রে ব্যান্ডেজের আশপাশে যতটুকু পর্যন্ত পানি পৌঁছানো সম্ভব, ততটুকু পানি দিয়ে ধুতে হবে। ব্যান্ডেজ ও এর আশেপাশের যতটুকু ধোয়া সম্ভব হবে না, তা ভেজা হাত নিতে হবে মাসেহ করে নিতে হবে।
ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করার জন্য পবিত্র অবস্থায় ব্যান্ডেজ বাঁধা জরুরি নয়। তাই ব্যান্ডেজ বাঁধার সময় যদি কারো অজু না থাকে বা গোসল ফরজ থাকে, তাহলেও পরবর্তীতে অজু-গোসলের সময় ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করা যায়।
ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করার পর ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করলে অর্থাৎ যে ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করা হয়েছে তা খুলে নতুন ব্যান্ডেজ লাগালে অজু-গোসল বা মাসাহ ভঙ্গ হয় না। নতুন ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করে নেওয়া উত্তম, জরুরি নয়। তবে যদি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ খোলা হয়, ওই জায়গা ধোওয়া যদি ক্ষতিকর না থাকে, তাহলে ব্যান্ডেজ খোলার পর আগের মাসাহ বাতিল হয়ে যাবে। অজু-গোসল বহাল রাখতে হলে মাসেহকৃত জায়গা ধুয়ে নিতে হবে।
অজুতে কোনো অঙ্গ শুকনো থেকে গেলে যা করবেন
অজুর সময় কোনো অঙ্গ বা কোনো অঙ্গের একাংশ শুকনো থেকে যায়, তাহলে পরবর্তীতে সেটা বুঝতে পারার পর শুধু ওই অঙ্গ বা ওই অংশটুকু ধুয়ে নিলে ওজু সম্পন্ন হয়ে যাবে। শুধু ওই অংশ শুকনো থাকার কারণে নতুন করে অজু করতে হবে না।
উবাইদ ইবনে উমাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওমর (রা.) একবার এক লোককে দেখতে পেলেন, ওজুতে তার পায়ের একটি অংশ শুকনো থেকে গেছে। তাকে বললেন, এমন অসম্পূর্ণ ওজু নিয়েই নামাজ পড়তে চলে এসেছ? তখন তিনি তাকে সেই শুকনো অংশটি ধুয়ে পুনরায় নামাজ পড়ার নির্দেশ দেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
ওএফএফ/জিকেএস