ইহরাম অবস্থায় চুল-দাড়ি আঁচড়ানো যাবে কি?
হজ ও ওমরাহর গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ইহরাম। নির্দিষ্ট স্থান থেকে হজ ও ওমরাহর নিয়তে নির্ধারিত নিয়মে ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরাম পরিধানের পর বৈধ অনেক কিছু হারাম বা নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
ইহরাম অবস্থায় সব ধরনের সাজসজ্জা নিষিদ্ধ। চুলে তেল দেওয়া বা সিঁথি করা যাবে না। চুল-দাড়ি আঁচড়ানোও অপছন্দনীয় বা মাকরুহ। আঁচড়ানোর কারণে কিছু চুল-দাড়ি পড়ে গেলে সদকা আবশ্যক হতে পারে। তাই চুল-দাড়ি আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
খুব বেশি অস্বস্তি লাগলে বা চুলে জট লেগে গেলে সাজসজ্জার নিয়ত ছাড়া প্রয়োজন পরিমাণ আঁচড়ানো যেতে পারে। অসুবিধা না হলে ইহরাম অবস্থায় চুল-দাড়ি কিছুটা এলোমেলো রাখাই উত্তম।
নারীদের জন্য ইহরাম অবস্থায় মেহেদি, লিপস্টিকসহ অন্যান্য প্রসাধনী ঘ্রাণমুক্ত হলেও ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
ইহরাম অবস্থায় মাকরুহ আরও কিছু কাজ
১. শরীর, মাথা বা দাড়ি সাবান দিয়ে ধৌত করা।
২. চুল, দাঁড়ি, লোম উঠে আসতে পারে এভাবে মাথা, দাড়ি, শরীর চুলকানো।
৩. লুঙ্গি অর্থাৎ নিম্নাঙ্গের কাপড়ের সামনের দিকে সেলাই করা।
৪. সুগন্ধি স্পর্শ করা অথবা ঘ্রাণ নেওয়ার উদ্দেশ্যে সুগন্ধি বিক্রেতার দোকানে বসা, সুগন্ধিযুক্ত ফুলফলের ঘ্রাণ নেওয়া।
৫. মাথা ও মুখ ব্যতীত শরীরের অন্যান্য জায়গায় বিনা প্রয়োজনে পট্টি বাধা।
ওএফএফ/এমএস
