হাফ হাতা গেঞ্জি পরে নামাজ আদায় করা যাবে?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

সাধারণ অবস্থায় এবং নামাজেও পুরুষের সতর হলো নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত জায়গা। শরীরের এইটুকু অংশ নামাজে ঢেকে রাখা ফরজ। শরীরের অন্যান্য অংশ অনাবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে। তবে বিনা কারণে মাথা, পেট-পিঠ, কাঁধ ইত্যাদি খোলা রেখে নামাজ পড়া পুরুষের জন্য মাকরুহ।

নামাজে আমরা মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়াই। তাই সাধ্যানুযায়ী মার্জিত পোশাক পরে নামাজ আদায় করা উচিত। নামাজের পোশাক এমন হওয়া উচিত যে পোশাক পরে আমরা সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাত করতে বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে লজ্জাবোধ করি না। যে অবস্থায় আমরা সম্মানিত মানুষদের সাথে সাক্ষাত করতে যাই না, ওই অবস্থায় নামাজে দাঁড়ানো তথা আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোও উচিত নয়।

কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় তোমরা সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে। (সুরা আরাফ: ৩১)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ যেন এক কাপড় পরে এমন অবস্থায় নামাজ না পড়ে যে তার কাঁধে ওই কাপড়ের কোনো অংশ নেই। (সহিহ বুখারি: ৩৫২, সহিহ মুসলিম: ৫১৬)

উল্লিখিত আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, নামাজ আদায়ের সময় শুধু সতর ঢাকাই যথেষ্ট নয়। বরং সতর ঢাকার পর সামর্থ্য অনুযায়ী মার্জিত পোশাক পরিধান করে নামাজ আদায় করা উচিত।

তাই স্যান্ডো গেঞ্জি এবং এজাতীয় অন্যান্য পোশাক পরিধান করে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। জামার হাতা বা নিচের কোনো অংশ ভাঁজ করা অবস্থায়ও নামাজ আদায় করা মাকরুহ।

হাফহাতা শার্ট, টি-শার্ট ও গেঞ্জি যদি সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে পরিধানের উপযুক্ত হয়, তাহলে তা পরিধান করে নামাজ আদায় করা মাকরুহ নয়। আর যদি সে রকম না হয়, অতিরিক্ত আঁটসাঁট, পাতলা অর্থাৎ শুধু ঘুমানো বা ঘরে পরিধানের উপযুক্ত হয়, তাহলে তা পরিধান করে নামাজ আদায় করা মাকরুহ।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।