সকালে কতক্ষণ জিকির করবেন?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২১

সকাল-সন্ধ্যার জিকির প্রসঙ্গে হাদিসে অনেক ফজিলত ঘোষণা করা হয়েছে। তন্মধ্যে সকালে ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার পর জিকির ও নফল নামাজের বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা ঘোষণা করা হয়েছে। সকালে জিকির ও নফল নামাজ পড়ার সেই ফজিলত ও মর্যাদা কী?

সকাল বেলার ছোট্ট একটি আমলে হজ ও ওমরার সাওয়াব পাওয়া অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। আর্থিক, শারীরিক ও আত্মিক এ ইবাদতের মর্যাদা পাওয়া ছোট-খাটো কোনো বিষয় নয়; মুমিন মুসলমানের জন্য এটি সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যের বিষয়। এ মর্যাদা পেতে সকালে কতক্ষণ জিকির করতে হবে? কয় রাকাত নামাজ পড়তে হবে? এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে পড়ে, এরপর সূর্য ওঠা পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরে বসে থাকে, এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, তার জন্য পূর্ণ একটি হজ ও ওমারাহ করার নেকি হয়।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

হাদিসের আলোকে করণীয়

১. ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা।

২. নামাজের পর ওই স্থানে বসে কিছু সময় জিকির আজকার করা।

৩. সূর্য ওঠলে দুই রাকাত নফল (ইশরাকের) নামাজ পড়া।

৪. ফজরের পর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত এ সামান্য সময় জিকির করা। ঘড়ির কাঁটার হিসেবে সর্বোচ্চ ২০-২৫ মিনিট।

এ তিনটি আমলের বিনিময়ে মহান আল্লাহ ওই বান্দাকে একটি ওমরাহ ও হজের সাওয়াব দান করবেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, একটি কবুল হজ ও ওমরার সাওয়াব পেতে সকালের অল্প কিছুক্ষণ সময় জিকির ও দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়ার তাওফিক দান করুন। ফজরের নামাজের পর মসজিদে বসেই জিকির ও নফল নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। কবুল হজ ও ওমরার সাওয়াব পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।