কাবিননামা ও দেনমোহর কি এক?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৯ পিএম, ০৭ জুন ২০২৩

অনেকেই কাবিনানামাকে ভেবে থাকেন দেনমোহর। বাস্তবে কাবিননামা ও দেনমোহর কী? এ দুটি কি এক? এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য কী? কাবিননামা ও দেনমোহরের মধ্যে পার্থক্যই বা কী?

কাবিননামা এবং দেনমোহর দুটিই সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। এর পরিচয় ও কাজে পার্থক্য রয়েছে। কাবিনানামা একটি চুক্তি। আর দেনমোহর হলো স্বামীর কাছে স্ত্রীর প্রাপ্য অধিকার। স্বামী তার স্ত্রীকে স্পর্শ করার আগেই এটি পরিশোধ করতে হয়। কাবিননামা বিয়ের জন্য আবশ্যক নয় বরং দেনমোহর বিয়ের জন্য আবশ্যক।

কাবিননামা কী?

কাবিননামা একটি চুক্তি। কাবিননামা বলতে বর-কনের বিয়ে সম্পাদনের লিখিত চুক্তিকে বোঝায়। একে নিকাহনামাও বলা হয়। বিয়ে সম্পাদনের জন্য বা বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য ‘কাবিননামা’আবশ্যক নয়। বরং কাবিননামা হচ্ছে একটি আইনি বাধ্যবাধকতা।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনীত ‘কাজী’ সরকার নির্ধারিত ছকে কাবিননামা সম্পাদন করে থাকেন। স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহর আদায়, স্ত্রীর ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের পিতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো যথাযথভাবে কাবিননামায় উল্লেখ থাকে। এটি সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত কাবিননামা; যা একটি আইনি দলিলও বটে। (বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ই-তথ্যকোষ)

দেনমোহর কী?

দেনমোহর স্ত্রীর অধিকার। এটি বর-কনের বিয়ের অন্যতম শর্ত। ইসলামেও দেনমোহর হলো বিয়ের অন্যতম শর্ত। এই শর্ত অনুযায়ী স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে বিয়ের সময় কিছু অর্থ বা সম্পত্তি পেয়ে থাকে বা পাওয়ার অধিকার লাভ করে। বিয়ে ধার্য করার কথা এলেই প্রথমে দেনমোহর চূড়ান্ত করতে হয়। দেনমোহর চূড়ান্ত করার মাধ্যমে বিয়ের সময় ও ক্ষণ নির্ধারিত হয়। এটি স্ত্রীর একটি বিশেষ অধিকার। স্ত্রীকে ছোঁয়ার আগে এ অধিকার স্বামীকে আদায় করতে হয়। আল্লাহ তাআলা কোরআনে দেনমোহর প্রসঙ্গে বলেন-

وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا

‘আর তোমরা স্ত্রীদের খুশি মনে তাদের মোহর দিয়ে দাও। তারা যদি খুশি হয়ে তা থেকে কিছু অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো।’ (সুরা নিসা: আয়াত ৪)

এমএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।