‘মাকরুহ’ কাজ করলে কি গুনাহ হয়?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩০ পিএম, ১৪ জুন ২০২৩

অনেককেই কথায় কথায় ‘মাকরুহ’ শব্দটি বলতে শোনা যায়। এটি করা মাকরুহ, ওটি খাওয়া মাকরুহ, সেটি দেখা মাকরুহ। কিন্তু এই ‘মাকরুহ’ শব্দ দিয়ে কী বোঝায়? এর অর্থই বা কী?

মাকরুহ (مَكْرُوْهٌ‎) শব্দটি আরবি। এটি বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। যার শাব্দিক অর্থ হলো- (কোনো কাজ) নিরুৎসাহিত করা, অপছন্দনীয় বা নিষিদ্ধ। এমন আমল বা কাজ; যা পালন করার তুলনায় না করাই উত্তম। অর্থাৎ যে কাজ করা জায়েজ কিন্তু না করা উত্তম। মাকরুহ কাজ করলে শাস্তি পেতে হবে না, কিন্তু এ ধরনের কাজ এড়িয়ে যেতে বলেছে ইসলাম। এটা মাকরুহে তানজিহি।

মাকরুহ কি শরিয়তের উৎস?

হ্যাঁ, মাকরুহ শরিয়তের উৎস। এটি অপছন্দনীয় কাজকে বোঝায়। যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এশার নামাজের আগে ঘুমানো এবং এশার পরে কথা বলাকে অপছন্দ করতেন।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত ৮৭) এটি মাকরুহ।

 ‘জলদী ছালাত আদায়’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য যে, অনেক বিদ্বান মাকরূহকে তানযীহী ও তাহরীমী দু’ভাগে ভাগ করেছেন। মূলতঃ তাহরীমীটা হারাম, যা নিষিদ্ধ। যেমন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য খাওয়া। কেননা এগুলি মাদকদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। অথচ এটাকে অনেকে ‘মাকরূহ তাহরীমী’ বলে খেয়ে থাকেন।

মাকরুহ কাজে কি গুনাহ হয়?

ইসলামের আদেশমূলক কাজকে বলা হয়- ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও মুস্তাহাব ইত্যাদি। আর নিষেধমূলক কাজকে বলা হয়- হারাম ও মাকরুহ ইত্যাদি।

ইসলামি শরিয়তের একটি বিধান ও পরিভাষার নাম মাকরুহ। এটি দুই ধরনের হয়ে থাকে। ১, মাকরুহ তাহরিমি ২. মাকরুহ তানজিহি।

মাকরুহ তাহরিমি

এটি (إلى الحرام أقرب) হারামের কাছাকাছি। এটি ত্যাগ করার ব্যাপারে শরিয়তে শক্তভাবে বলা হয়েছে। এটি সাধারণত ওয়াজিবের বিপরীতে ব্যবহার হয়। সুতরাং অনেক ইসলামিক স্কলার বলেন, এ ধরণের মাকরুহ ত্যাগ না করলে গুনাহ আছে।

মাকরুহে তানজিহি

এটি (إلى الحل أقرب) হালাল বা জায়েজের কাছাকাছি। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় যা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে তা শক্তভাবে বলেনি বিধায় ছেড়ে দিলে সাওয়াব আছে তবে করলে গুনাহ নেই। এটি সাধারণত সুন্নত কিংবা মুস্তাহাবের বিপরীতে ব্যবহার হয়। (আততাওযিহ ওয়াততালবিহ ২/১২৬)

এমএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।