নারীদের হাত ও পায়ের লোম তুলে ফেলা কি বৈধ?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নারীদের হাত ও পায়ে অনেক সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম থাকে যা বিশ্রী দেখায়, ওয়াক্সিং করে তুলে ফেলার দরকার পড়ে। সুন্দর ও কোমল ত্বকের জন্য নিয়মিত রূপচর্চার অংশ হিসেবেও অনেক নারী ওয়াক্সিং করান। আজকাল অনেক পুরুষও ওয়াক্সিং করে বুক ও পিঠের লোম তুলে ফেলেন।

ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী শরীরের লোম তিন ভাগে ভাগ করা যায়। কিছু লোম কাটা বা তুলে ফেলা নিষিদ্ধ, কিছু লোম নিয়মিত খাটো করা বা তুলে ফেলার নির্দেশ রয়েছে, কিছু লোমের ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ নেই অর্থাৎ চাইলে রাখা যায়, আবার তুলেও ফেলা যায়।

প্রথম প্রকারের লোম যেগুলো মুণ্ডানো বা তুলে ফেলা নিষিদ্ধ সেগুলো হলো পুরুষের দাড়ি, ভ্রু এবং নারীদের ভ্রু। একটি হাদিসে রাসুল (সা.) ভ্রু উপড়ে ফেলা, দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা ইত্যাদি রূপচর্চাকে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিকৃতি গণ্য করে এগুলো যারা করে তাদের অভিশপ্ত বলেছেন। রাসুল সা. বলেন,

لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُوتَشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّ
আল্লাহ ওই সব নারীকে লানত করেছেন, যারা উল্কি অঙ্কন করে বা করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রূ উপড়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে; এরা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি ঘটিয়েছে। (সহিহ বুখারি: ৪৮৮৬)

দ্বিতীয় প্রকারের পশম হলো, শ্রোণীদেশ ও বগলের পশম, পুরুষের গোঁফ ইত্যাদি। এগুলো নিয়মিত কাটতে হয় বা তুলে ফেলতে হয়।

শরীরের অন্যান্য সব লোম তৃতীয় প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ এগুলো রাখা যায়, কেউ কাটলে, মুণ্ডন করলে বা উপড়ে ফেললেও গুনাহ নেই। নারীদের জন্য ভ্রু ও চুল ছাড়া শরীরের অন্য যে কোনো জায়গার লোম উপড়ে ফেলা বৈধ। হাত, পা, বুক ও পিঠের লোম তুলে ফেলা পুরুষদের জন্যও বৈধ।

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।