যে নফল নামাজকে ‘সালাতুল আওয়াবিন’ বলেছেন নবিজি (সা.)

ওমর ফারুক ফেরদৌস
ওমর ফারুক ফেরদৌস ওমর ফারুক ফেরদৌস , আলেম ও লেখক
প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪

আরবি ‘আওয়াব’ শব্দের অর্থ এমন ব্যক্তি যে বার বার আল্লাহকে স্মরণ করে, আল্লাহর দিকে ফেরে বা তওবা করে। আওয়াবের বহুবচন ‘আওয়াবিন’। সালাতুল আওয়াবিন অর্থ আল্লাহকে অধিক স্মরণকারীদের নামাজ।

যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহ রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাশতের নামাজকে ‘সালাতুল আওয়াবিন’ বলেছেন। যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন একদিন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কুবাবাসীদের এলাকায় গেলেন। সে সময় তারা নামাজ আদায় করছিল। এটা দেখে তিনি বললেন, আওয়াবিনের নামাজের উত্তম সময় হলো যখন রোদের তাপে বালু গরম হওয়ার কারণে উটের বাচ্চাগুলোর পা উত্তপ্ত হতে শুরু করে। (সহিহ মুসলিম: ৭৪৮)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, চাশতের নামাজ নিয়মিত পড়তে পারে শুধু আওয়াব বা আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী ব্যক্তিরা, এটা সালাতুল আওয়াবিন বা আল্লাহকে অধিক স্মরণকারীদের নামাজ। (সহিহুল জামে’: ২/১২৬৩)

এ হাদিসগুলোর আলোকে ওলামায়ে কেরামের অভিমত হলো হাদিসে ‘সালাতুল আওয়াবিন’ বলা হয়েছে চাশতের নামাজকে। সূর্যের তাপ প্রখর হয়ে ওঠার পর থেকে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত এ নামাজ পড়া যায়। এ সময় সুযোগ অনুযায়ী দুই রাকাত থেকে বারো রাকাত পর্যন্ত যে কোনো পরিমাণ নফল নামাজ পড়া যেতে পারে।

আমাদের দেশে মাগরিব-পরবর্তী নফল নামাজ ‘আওয়াবিনের নামাজ’ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ওই সময়ের নফল নামাজকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত কোনো হাদিসে সালাতুল আওয়াবিন বা আওয়াবিনের নামাজ বলা হয়নি।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।