দোয়া কবূলের গুরুত্বপূর্ণ সময়


প্রকাশিত: ০৭:০৩ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৫

রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, `তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমআর দিন। এ দিনের রয়েছে বিশেষ সময় যখন দোয়া কবুল হয়। এ সময়গুলোতে আল্লাহ নৈকট্য অর্জনে সচেষ্ট থাকা জরুরি। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর দিনের কথা উল্লেখ করে বললেন, `এ দিনে এমন একটি সময় আছে যে, কোনো মুসলিম বান্দার ভাগ্যে যদি সময়টি মিলে যায় এমতাবস্থায় যে, সে ছালাত আদায় করছে আর আল্লাহ্‌র নিকট কিছু প্রার্থনা করছে তাহলে আল্লাহ্ তাকে তাই প্রদান করবেন। তিনি তাঁর হাতের ইঙ্গিতে বুঝালেন যে, সময়টি খুবই সামান্য।’ (আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, নাসাঈ, মিশকাত)
হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুমআর দিন আসরের পর এ সময়টি তালাশ কর। (নাসাঈ) অর্থাৎ আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়।

ঐ সময়তো নামাজ পড়ার বিধি-নিষেধ রয়েছে, এর সমাধান হচ্ছে, আসরের নামাজের পর মাগরিবের নামাজের অপেক্ষায় থাকাও নামাজের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং এ সময়ে ইবাদাত-বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকাই জরুরি।

হজরত আবু বুরদাহ ইবনে আবু মুসা আশআরী হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বললেন, আপনি কি জুমআর দিনের বিশেষ মুহূর্ত সম্পর্ক আপনার পিতাকে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেনঃ আমি বললাম, হ্যাঁ। আমি তাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহর রাসূল (স) কে একথা বলতে শুনেছি যে, ‘সেই মুহূর্তটা হচ্ছে ইমামের মিম্বরে বসা থেকে সলাত শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের ভিতর। (মুসলিম)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলেছেন, জুমুআর দিনের বার ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোন মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে তা দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান কর।’ (আবু দাউদ)

এ দিনের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ
১. কুরআন মাজিদের সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা, অন্তত প্রথম ও শেষ ১০ আয়াত তিলাওয়াত করা।
২. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দিনে বেশি বেশি করে দুরুদ পড়তে বলেছেন। একবার দুরুদ পড়লে আল্লাহ তার প্রতি ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন। সর্বশ্রেষ্ঠ দুরুদ হচ্ছে দুরুদে ইবরাহিম, যা নামাজে পড়া হয়।
৩. উপরোল্লিখিত দোয়া কবুলের সময়টাতে বেশি করে দোয়া করা।

পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জুমআর সারাদিন তার ইবাদাত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন। জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।