জুমআর দিন মসজিদে যাওয়ার ফজিলত


প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ইবাদাত হচ্ছে নামাজ। সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হচ্ছে জুমআর দিন। কেননা এ দিনে আল্লাহ তাআলা মানুষকে সবচেয়ে বেশি নিয়ামাত দান করেছেন। আর এ জন্যই আল্লাহ তাআলা এ দিনে মানুষের জন্য মর্যাদা সম্পন্ন একটি বিশেষ নামাজ দান করেছেন। যাকে আমরা জুমআর নামাজ হিসেবে জানি। এ দিনে নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামর হাদিস-

১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবতের গোসল করলো। অতপর মসজিদে গেল, সে যেন একটি উট কুরবানি করল। আর যে দ্বিতীয় মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি গরু কুরবানি করল। আর যে তৃতীয় মুহূর্তে  গেলে, সে যেন একটি শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানি করল। আর যে চতুর্থ মুহূর্তে  গেল, সে যেন একটি মুরগি কুরবানি করলো। আর যে পঞ্চম মুহূর্তে গেল, সে যেন একটি ডিম কুরবানি করলো। অতপর যখন ইমাম সাহেব বের হয়ে আসেন তখন ফেরেশতাগণ জিকির শুনতে থাকেন। (বুখারি, মুসলিম)

২. হজরত আওস ইবনে আওস শাকাফি রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন তার স্ত্রীকে গোসল করালো ও নিজে গোসল করলো। অতপর অন্যকে (মসজিদে যেতে) জলদি তাগিদ দিল এবং নিজেও সকাল সকাল পায়ে হেঁটে মসজিদে গেল এবং ইমামের নিকটে বসলো ও কোনো অনর্থক কাজ না করে ইমামের খুৎবা শুনলো। তার প্রতিটি চলার পদক্ষেপের ছাওয়াব রোজা ও তাহাজ্জুদ সম্মিলিত এক বছরের সমান নেকি বরাবর হবে।’ (আবু দাউদ)

আল্লাহ তাআলা যথা সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে নামাজের জন্য যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এসকেডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।