মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পদ্ধতি


প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা ফরজে কিফায়া। মাইয়্যেতের দাফন করা অনেক ছাওয়াবের কাজ। এ কাজে পারদর্শী লোক পাওয়া দুষ্কর। সংক্ষেপে মৃত ব্যক্তির দাফনের পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-

১. কবরকে গভীর ও প্রশস্ত এবং সুন্দর করা ওয়াজিব।
২. কবরের দৈর্ঘ্য হবে মৃত ব্যক্তির উচ্চতা থেকে একটু বেশি।
৩. গভীরতা হবে মৃত ব্যক্তির দৈর্ঘ্যের অর্ধেক।
৪. কবর খননের শেষ পর্যায়ে মৃত ব্যক্তিকে রাখার মতো জায়গা ক্বিলার দিকে গর্ত করা। ইহাকে লাহাদ (বগলী) কবর বলা হয়। লাহাদ বা বগলী কবর সোজা কবরের চাইতে উত্তম।
৫. কবর খননের পর ৈমাইয়্যেতকে কবরে রাখার সময় ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা মিল্লাতি রাসুলিল্লাহ’ দোয়া পাঠ করা। মিল্লাতির জায়গায় ‘সুন্নাতি’ বললেও চলবে।
৬. মাইয়্যেতকে কবরে রেখে ডান দিকে ক্বিবলামুখী করে দেয়া সুন্নাত।
৭. যারা মৃত ব্যক্তিকে কবরে নামাবে তাদের ক্বিবলামুখী হওয়া।
৮. মহিলা হলে পর্দার সঙ্গে নামানো মুস্তাহাব। শরীর প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকলে পর্দা করা ওয়াজিব।
৯. কবরে মাথার দিক থেকে মাটি দেয়া মুস্তাহাব। দুই হাতে মাটি কবরে রাখা। মাটি রাখার সময়; প্রথম বার বলবে- মিনহা খালাক্বনাকুম; দ্বিতীয় বার বলবে- ওয়া ফিহা নুঈদুকুম; তৃতীয় বার বলবে- ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা।
১০. উটের পিঠের মতো দুই দিক ঢালু করে মাঝখানে আধা হাত পরিমাণ উঁচু করা।
১১. মাটি দেয়ার পর পানি ছিটানো মুস্তাহাব।
১২. দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর কিছুক্ষণ কবরের পাশে থেকে মৃতের জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব।
১৩. এক কবরে একজনকেই দাফন করা উত্তম। প্রয়োজনে একাধিক দাফনও করা যেতে পারে।
১৪. সমুদ্র ভ্রমণে কারো মৃত্যু হলে; সেখান থেকে স্থলভূমিতে নিয়ে আসতে দেরি হওয়ায় লাশ বিকৃত হওয়ার ভয় থাকলে, গোসল দিয়ে জানাযার পর সমুদ্রে ছেড়ে দিতে হবে। তবে স্থলভূমিতে কবরস্থ করা উত্তম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মৃত ব্যক্তির দাফন কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।