নির্জন প্রান্তরে নামাজ পড়ার ফজিলত


প্রকাশিত: ০৮:৪৭ এএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ রুকন। ফরজ নামাজের পাশাপাশি রয়েছে সুন্নাত ও নফল নামাজ। বান্দা নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। ফরজ নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাআতের সহিত আদায় করার কঠোর তাগিদ দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কোনো মানুষ যদি জনমানবহীন প্রান্তরে বসবাস করে সে নির্জন প্রান্তরে নামাজ আদায়ের ফজিলত অত্যাধিক। হাদিসে এসেছে-

ক. হজরত উকবাহ ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমার প্রতিপালক বিস্মত হন পর্বত চূড়ায় সেই ছাগলের রাখালকে দেখে, যিনি নামাজের জন্য আজান দিয়ে (সেখানেই) নামাজ আদায় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আমার এ বান্দার প্রতি লক্ষ্য কর (এমন জায়গাতেও) আজান দিয়ে নামাজ কায়েম করছে! সে আমাকে ভয় করে। আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং জান্নাতে প্রবেশ করালাম।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ, আত-তারগীব)

খ. হজরত আবু সাইদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল বলেছেন, জামাআতে পড়া নামাজ, পঁচিশটি নামাজের সমতুল্য। যদি কেউ সেই নামাজ কোনো জনশূন্য প্রান্তরে পড়ে এবং তার রুকু ও সিজদা পূর্ণরূপে আদায় করে তবে ঐ নামাজ পঞ্চাশটি সমমানের নামাজে পৌঁছায়। (আবুদ দাউদ, আত-তারগীব)

আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে পৃথিবীর যে প্রান্তেই রাখুন, সঠিক সময়ে পরিপূর্ণ রুকু ও সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।