তীর্থের কাকরা একে একে এসে জড়ো হচ্ছে: ছাত্রশিবির নেতা সাদিক কায়েম

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশের ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম জুলাই গণ-অভুত্থান নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, তীর্থের কাকরা একে একে এসে জড়ো হচ্ছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি আরও লেখেন, আমার ভাইয়েরা যখন রাস্তায় শহীদ হতো, বুক পেতে দাঁড়াত তখন তারা বলত-‘দেখি কী হয়? ক্যাম্পাস খুলে দিক তারপর দেখা যাবে।’ আমরা যখন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের জন্য সংকল্পবদ্ধ ছিলাম, একটা সুবিধাভোগীরা তখনও অপেক্ষা করছিল সুসময়ের জন্য। বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর একে একে ভিড়ছে ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে।

সাদিক কায়েম লেখেন, বিপ্লবের শর্ত কি আমরা পূরণ করতে পারছি? আমরা কি শহীদদের হৃদয়ের কথা বুঝতে পারছি? যেখানে আমাদের অভীষ্ট ছিল ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপ, শহীদদের বিচার নিশ্চিত, সেখানে নিজেদের ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বিভাজনের দিকে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছি! আমরা জানি আন্দোলনে কারা ভূমিকা রেখেছিল। একটা গণ-অভ্যুত্থান ক্যামেরার সামনে থেকে বা পত্রিকার ছবির মাধ্যমেই হয়ে যায় না। তার ব্যাপ্তি অনেক সুগভীর। আমরা সেটা এক্সপেরিয়েন্স করেছি।

তিনি আরও লেখেন, অধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দিকে ফোকাস না দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকার জন্য যে বাদানুবাদ হচ্ছে, তা শহীদদের সাথে তামাশা করার শামিল। আওয়ামী লীগের বিচার করতে পারছেন? নিষিদ্ধ করেছেন? এই দায়ভার কার? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের জন্য, কারো মন জুগিয়ে চলার জন্য নয় কিংবা রুটিন ওয়ার্ক করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে নয়।

ছাত্রশিবিরের এই নেতা সতর্কবার্তা দিয়ে আরও লেখেন, প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগেই জ্বালানি দিন, অন্যথায় অন্ধকারে দিশা হারাতে হবে।

এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।