একজন বাঙালিকেও যদি পুশইন করে ভারত, তাহলেই বিপর্যয়

সায়েম সাবু
সায়েম সাবু সায়েম সাবু , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৭ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শাহরিয়ার কবির। সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। একজন খ্যাতনামা শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সাংবাদিকতা ও গবেষণার স্বার্থে কাশ্মীরে গেছেন বহুবার। লিখছেন, কাশ্মীরের সংগ্রাম-রাজনীতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে। সম্প্রতি কাশ্মীর, আসাম, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজ- এর। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি নিজস্ব মতামতও ব্যক্ত করেন। বলেন, কাশ্মীরের মানুষের তিনটি অবস্থান। কেউ ভারতের সঙ্গে থাকতে চান। কেউ পাকিস্তানে যুক্ত হতে চান। আবার কেউ চান স্বাধীন হতে। ‘কাশ্মীরের উন্নয়নে ৩৭০ ধারা বাতিল জরুরি ছিল’ বলেও মত দেন। তিন পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে দ্বিতীয়টি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু

জাগো নিউজ : আগের পর্বে আপনি কাশ্মীরের উন্নয়ন প্রশ্নে ৩৭০ ধারা বাতিলের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। ২০০০-০১ সালে কাশ্মীর ঘুরে এসে সেখানকার আর্থ-সামাজিক নিয়ে আলোকপাত করেছেন। গত ১৯ বছরে কাশ্মীরিদের ভাবনায় তো অনেক পরিবর্তন আসার কথা…

শাহরিয়ার কবির : পরিবর্তন আসার কথা নয়। যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই মিলিশিয়াদের ব্যবহার করেছে। কাশ্মীরের মানুষের জন্য কোনো পরিবর্তন আসেনি।

জাগো নিউজ : কাশ্মীরে হত্যা, গণহত্যার কথা বলছেন। আমাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আছে। রক্তপাত স্বাধীনতার দাবিকে ত্বরান্বিত করে, ইতিহাস অন্তত তা-ই প্রমাণ দেয়…

শাহরিয়ার কবির : আমি এ বিষয় নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে পরিষ্কার বলেছেন, ‘আপনারা কেন আমাদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করবেন না। বাংলাদেশ তো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা ভারতের সাহায্য নিয়েছেন আর আমরা পাকিস্তানের সাহায্য নিচ্ছি।’

আমি বললাম, স্বাধীনতার জন্য গণরায় দরকার পড়ে। আমাদের নেতা গোটা পাকিস্তানে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন ১৯৭০ সালে। তারা আমাদের ক্ষমতা না দিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। এরপর আমরা অস্ত্র হাতে নিয়েছি।

জাগো নিউজ : কাশ্মীর তো সেই গণরায়ের সুযোগ পায়নি?

শাহরিয়ার কবির : হুরিয়াতের নেতারা নির্বাচন করেছে। তারা বিভিন্ন সময় নির্বাচনে জিতেছে। তারা একটি নির্বাচনে আপত্তি করেছিল। ১৯৮৬ সালের নির্বাচন নিয়ে ভারতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা বলেছে, ভারতের অন্যান্য রাজ্যে যেটুকু কারচুপি হয়, এখানেও হয়তো তা-ই হয়েছে। কিন্তু হুরিয়াত নেতারা কেউই আদালতে যায়নি। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেনি।

বিষয়টি নির্বাচন নয়। এজেন্ডা হচ্ছে পাকিস্তানের। পাকিস্তান চাইছে গোটা কাশ্মীর তাদের। জামায়াত সেই এজেন্ডা নিয়ে খেলছে। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী যদি আওয়ামী লীগের চেয়ে শক্তি অর্জন করে, তারা পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্র তৈরি করবে। যদিও পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। কাশ্মীরকে ফিজিক্যালি যুক্ত করা সম্ভব।

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের ডিজাইন যদি না বোঝেন, তাহলে ভারতের অবস্থান আপনি বুঝতে পারবেন না। জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিন মালিককে বললাম, আপনারা প্রমাণ করুন গণরায় নিয়ে ঠিক আমাদের মতো। হুরিয়াত কনফারেন্সে ২৬টি দল। এক দল আরেক দলকে মানে না।

জাগো নিউজ : এমন অবস্থা আমাদের এখানেও ছিল। আওয়ামী লীগ ভেঙেছে কয়েকবার। অনেক দলই পাকিস্তানের ভাঙন চায়নি এক সময়। কাশ্মীরেও স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্য আসতে পারে কি-না?

শাহরিয়ার কবির : সম্ভব না। বেলুচিস্তান, কাশ্মীরে সেই ঐক্য আমি লক্ষ্য করিনি। কাশ্মীরিরা স্বাধীনতার প্রশ্নে এখনও ঐক্যে আসতে পারেনি।

জাগো নিউজ : সম্ভব না হলেও তাদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করতেই পারি?

শাহরিয়ার কবির : যতক্ষণ না তারা গণরায়ের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারছে যে, কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষ স্বাধীনতা চায়, ততক্ষণ আপনিও সমর্থন দিতে পারছেন না।

জাগো নিউজ : গত তিন বছরে ব্যাপক সংখ্যক তরুণকে হত্যা করা হয়েছে, যারা ভারতের বশ্যতা মানতে নারাজ ছিল এবং প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই কাশ্মীরিদের স্বাধীনতার পক্ষে ঐক্য এনে দিচ্ছে বলে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশ…

শাহরিয়ার কবির : আমি তা মনে করি না। এটি পাকিস্তান প্রচার করছে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা এখনও পাকিস্তানের ভাবধারা থেকে বের হতে পারিনি। ২৪ বছর যুক্ত থাকার কারণেই এমন চিন্তাধারা প্রকাশ পায়।

১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ স্লোগান দিয়েছে, লড়াই করে আমরা কাশ্মীরকে পাকিস্তানে যুক্ত করব। মাথার মধ্যে এখনও সেই ভাবধারা কাজ করছে। এ কারণেই আমি মনে করি, কাশ্মীর সম্পর্কে বুঝতে হলে, লিখতে হলে কাশ্মীরে যেতে হবে। সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। পাকিস্তানের বয়ান দিয়ে আপনি কাশ্মীর ইস্যু মূল্যায়ন করতে পারবেন না।

জাগো নিউজ : আপনি কী মনে করছেন, কাশ্মীরে নিছক উন্নয়ন প্রশ্নেই ভারত সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিল?

শাহরিয়ার কবির : ভারতের অন্য নকশা থাকতে পারে। অটল বিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, ‘কাশ্মীর, গণতন্ত্র, মানবতা কোনো বিচ্ছিন্ন সত্তা না। একটি আরেকটির সঙ্গে অপরিহার্য। আলাদা করার সুযোগ নেই।’ এটি কাশ্মীরের জাতিসত্তা হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু আমরা তো কাশ্মীরে অমানবিকতাও দেখেছি। তিন লাখ হিন্দু পণ্ডিতকে কাশ্মীর থেকে বের করে দিলেন। ত্রিশ বছর হয়ে গেল। তাদেরকে আপনি ফিরিয়ে নেবেন না? কাশ্মীরে মানবতা কি শুধু সশস্ত্র গ্রুপগুলোর জন্য? হিন্দু পণ্ডিতদের জন্য কোনো মানবতা নেই? আমি দেখেছি, মিলিশিয়ারা হিন্দু পণ্ডিতদের ঘরবাড়ি ম্যাসাকার করেছে। তারা এক কাপড়ে বেরিয়ে এসেছে। গ্রামের সাধারণ মুসলমানরা হিন্দুদের আশ্রয় দিয়েছে। পাকিস্তান থেকে আসা জিহাদিদের হাতে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। হিন্দু পণ্ডিতরা হাজার বছর ধরে মুসলমানদের শাসন মেনে নিয়ে বসবাস করেছে। তাদের তো দোষ ছিল না। জম্মুতে দেখেছি, জিহাদের নামে চাঁদা দেয়নি বলে ৫০ হাজার মুসলমানকেও ঘরছাড়া করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি-জামায়াতিরা যা করেছিল, কাশ্মীরেও মুজাহিদরা তা-ই করেছে।

জাগো নিউজ : আপনি এখন কাশ্মীরে কী দেখছেন?

শাহরিয়ার কবির : কাশ্মীর নিয়ে যারা কাজ করেন, আমি দিল্লিতে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি, উন্নয়ন বাড়ানো এবং সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য ৩৭০ ধারা বাতিল ঠিক আছে। কিন্তু উন্নয়নটা কয়েকটা পরিবারের জন্য নয়, কাশ্মীরবাসীর জন্য হওয়া উচিত।

কাশ্মীরের কৃষি জমি হচ্ছে সোনার খনি। এখানে এমন সব ফল ফলে যা পৃথিবীর অন্য কোথাও ফলে না। এসব কৃষি জমি যদি ‘টাটা’ বা ‘বিড়লা’র মতো কোম্পানিকে কিনতে দেন, তাহলে কাশ্মীরে আরেকটি বিপর্যয় ঘটবে। ভারতের অনেক জায়গাতেই জমি কেনা-বেচা নিয়ে বিধিনিষেধ আছে। কাশ্মীরেও স্বতন্ত্র বিধান করা উচিত।

জাগো নিউজ : তাহলে তো ৩৭০ ধারার আরেকটি রূপান্তর ঘটল…

শাহরিয়ার কবির : আমি রূপান্তর বলছি না। আমি নতুন আইন করার কথা বলছি। কাশ্মীরিদের এখন দাবি হওয়া উচিত, রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা দেয়া।

জাগো নিউজ : আপনি ৩৭০ ধারা বাতিলের পক্ষে। অথচ অমর্ত্য সেনসহ খোদ ভারতের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের মানুষও ৩৭০ ধারা বহাল রাখার পক্ষে…

শাহরিয়ার কবির : অমর্ত্য সেনরা ভুল বলছেন। কারণ তারা কাশ্মীরে যাননি।

জাগো নিউজ : আপনি সচেতনভাবে বলছেন?

শাহরিয়ার কবির : হ্যাঁ। আমি সচেতনভাবেই বলছি, তারা কাশ্মীরে যাননি। ফারুক আবদুল্লাহ আগের অবস্থান থেকে সরে এসে শান্তির কথা বলছেন। মুফতি মেহবুবা হয়তো ক্ষোভের কথা বলছেন।

স্থানীয় রাজনৈতিক শক্তিকে এ সময় সজাগ থাকতে হবে। হুরিয়াত কনফারেন্স একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চায়। আপনাকে হুরিয়াত, পাকিস্তানি মুজাহিদ, ফারুক আব্দুল্লাহ, মুফতি মেহবুবাকে আলাদা আলাদাভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। সব এক করে ফেললে হবে না।

জাগো নিউজ : বিজেপি আসামে যে নীতি গ্রহণ করল, তারা কাশ্মীরের স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে সে সুযোগ দেবে?

শাহরিয়ার কবির : আসামের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। আমি আসাম ইস্যু নিয়ে পরিষ্কার করে বলেছি, ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিকে সম্মান করতে হবে। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির বাইরে একজন বাঙালিকেও যদি পুশইন করে ভারত, তাহলে বিপর্যয় ডেকে আনবে।

জাগো নিউজ : আপনি চুক্তির কথা বলছেন। কিন্তু ভারতে ক্রমশই মুসলিম বিদ্বেষ বাড়ছে…

শাহরিয়ার কবির : বাংলাদেশেও হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। পাকিস্তানেও বাড়ছে।

জাগো নিউজ : ভারত তার রূপ দ্রুত বদলাচ্ছে কি-না?

শাহরিয়ার কবির : আমি উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে কলকাতায় গিয়ে নির্মূল কমিটির সহযোগী সংগঠন হিসেবে বিশেষ ফোরাম গঠন করেছি। আমি বলেছি, ভারতের এখন বড় চ্যালেঞ্জ ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের ঐতিহ্য-কে ধরে রাখা। এ চ্যালেঞ্জ সবারই। নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। জামায়াত-বিএনপির সময় আমরা নির্মূল কমিটি গঠন করেছি। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়েছে। জেলও খেটেছি। ভয় করলে তো এগিয়ে যেতে পারতাম না।

ভারতে সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটছে। শুধু হিন্দু মৌলবাদ নয়, ইসলামি মৌলবাদেরও বিস্তার ঘটছে। ভারতের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ভারতের নাগরিকদের। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করা। আমরা ভারতের সাধারণ মানুষের লড়াইয়ে সমর্থন করতে পারি। কিন্তু আমি বাংলাদেশে বসে ভারতের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা বা কাশ্মীরের স্বাধীনতার ঠিকাদারি নিতে পারি না। আমার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে হস্তক্ষেপ করতে দেব না। আমিও ভারতের ব্যাপারে করতে চাই না।

বাংলাদেশ সরকার বলেছে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরাও তা-ই মনে করি।

জাগো নিউজ : কাশ্মীর ইস্যু কি আসলেই ভারতের অভ্যন্তরীণ? বিশ্ব তো কথা বলছে…

শাহরিয়ার কবির : আমি ঢাকায় বসে কাশ্মীর নিয়ে বলতে পারি না। আমি দিল্লিতে গিয়ে বলেছি। আমরা ধর্মের নামে গণহত্যার শিকার হয়েছি। ভারত এটি দেখেনি। কাশ্মীরে যদি ধর্মের নামে বিভাজন করা হয় তাহলে বড় মূল্য দিতে হবে। অটল বিহারী বাজপেয়ী কাশ্মীর নিয়ে কী বলেছেন, তা বিজেপি নেতাদের মনে রাখা দরকার।

জাগো নিউজ : অটল বিহারী বাজপেয়ী আর অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদির বিজেপি কি এখন এক বলা যায়?

শাহরিয়ার কবির : আগের জায়গা থেকে এখন অনেক দূরে সরে গেছে বিজেপি। যেমন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ থেকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ অনেক দূরে সরে এসেছে। আমরা তিন যুগ ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছি। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা তো অস্বীকার করতে পারবেন না। আমরা তো বিশ্বাস করি, অন্য সরকার এলে এমন উন্নয়ন ঘটত না। জামায়াত-বিএনপির শাসন আমলে কী হয়েছে, তা তো সবার জানা। আমাদের এজেন্ডা পরিষ্কার। সরকারের ভালো কাজের সমর্থন করব, খারাপ কাজের সমালোচনা করব।

ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের হাজার বছরের সভ্যতার অংশ। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছি। এর আগে তো সবাই একসঙ্গেই ছিলাম। এ অঞ্চলের মানবতাবোধ ভারতের মাটি থেকে সৃষ্টি হয়েছে।

জাগো নিউজ : ভারত এখনকার সভ্যতার জন্য কী ম্যাসেজ দিচ্ছে?

শাহরিয়ার কবির : বিশ্বব্যাপী দক্ষিণপন্থার উত্থান ঘটছে। ফ্যাসিবাদের বিস্তার ঘটছে। ইউরোপ-আমেরিকায় ডানপন্থীরা ক্ষমতায় আসছে। পাশের দেশ মিয়ানমারে কী হচ্ছে? বৌদ্ধ ধর্মকে সবচেয়ে শান্তির ধর্ম বলা হয়। সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা করছে। ধর্মের নামে সর্বত্রই সংঘাত বাড়ছে।

আমাদের কাজ হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সংঘাত পরিহার করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাই সর্বত্র। ধর্মীয়ভাবেও শান্তির কথা বলতে হবে। সব ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে।

এএসএস/এমএআর/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।