‘প্রয়োজনে মন্দির-মসজিদের দান বাক্স থেকে অর্থ নেয়া হোক’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রকোপ। দিনকে দিন যেন বেড়েই যাচ্ছে এর সংক্রমণ। যে কারণে প্রায় সারাবিশ্বই রয়েছে অঘোষিত এক লকডাউনের মধ্যে।
ব্যতিক্রম নয় ভারত। প্রাথমিকভাবে ১৫ এপ্রিল এবং পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩ মে পর্যন্ত। জনবহুল দেশ ভারতে লকডাউনের কারণে খাবার তথা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে পড়া মানুষের সংখ্যা অনেক। তাদের সাহায্যে সরকারের সঙ্গে সবাই যে যার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে পাঁচ কোটি রুপির অনুদান। এছাড়া সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটারা মিলে আরও প্রায় ১০ কোটি রুপির কাছাকাছি দান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করোনা তহবিলেন।
ক্রিকেট বোর্ডের এ উদ্যোগে দারুণ খুশি হয়েছেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। বর্তমান বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির প্রতি সম্মান, ভালোবাসা আগের চেয়ে আরও বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন ক্রিকেট বোর্ড যেন আরও অনুদান দেয়।
ভারতীয় দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনে দেয়া সাক্ষাৎকারে কপিল বলেছেন, ‘আমি আমার (ক্রিকেট) বোর্ডকে আবেদন করতে চাই, তোমরা এদের (অসহায় মানুষদের) জন্য আরও কিছু করো। বোর্ডে এখন আমার প্রিয় ক্রিকেটাররাই সবাই। যারা এরই মধ্যে ৫ কোটি রুপি প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দিয়েছে। আমার মতে, আরও অনেক টাকা বোর্ড খরচা করুক।’
খরচের খাতও উল্লেখ করে দিয়েছেন কপিল, ‘হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় মেশিন কিনে দিক। ডাক্তার-নার্সদের জন্য খরচা করুক। সৌরভ (গাঙ্গুলি) এমনিতেই আমার অনেক প্রিয়। এসব উদ্যোগ যদি নেয়, আমার সারাজীবনের হিরো হয়ে থাকবে।’
তবে শুধু ক্রিকেট বোর্ড নয়, কপিলের দাবি সমাজের সবারই নিজের সাধ্যের পুরোটা দিয়ে সাহায্য করা। এছাড়াও মন্দির ও মসজিদের দানবাক্সে যেসব টাকা রয়েছে সেগুলোও এখন ব্যবহার করার সময় বলে মনে করেন কপিল। কারণ এগুলো তো মানুষেরই দান করা টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা চিকিৎসক ও হাসপাতালে সাহায্যের জন্য কোটি কোটি টাকা আসতে পারে ভারতের বিভিন্ন মন্দির-মসজিদ বা গুরুদোয়ারা থেকে। এগুলোর তহবিলে কোটি কোটি টাকা পড়ে আছে। সেটা বৈষ্ণদেবী হোক কিংবা তিরুপতির মন্দির। এগুলো তো মানুষেরই দান করা টাকা। এখন এত বড় সংকটে সেখান থেকেও অর্থের জোগান আসা উচিৎ।’
এসএএস/জেআইএম