অনুশীলনে ‘ব্যক্তিগত বল’ ব্যবহার করতে হবে ইংলিশ বোলারদের
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পূর্ব নির্ধারিত টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য অনুশীলনে ফেরার চিন্তা করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে আগামী ২০ মে’র (বুধবার) কথা জানা গিয়েছে। জুলাইয়ের আগে সবধরনের ক্রিকেট নিষিদ্ধ রয়েছে ইংল্যান্ডে।
তবে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের জন্য তৈরি করতে সীমিত পরিসরে অনুশীলনের কথা চিন্তা করেছে ইসিবি। বৃহস্পতিবার তারা ঘোষণা দিয়েছে, মাঠের ক্রিকেট ফেরানোর জন্য অন্তত ৩০ জন ক্রিকেটারকে প্রস্তুত করা হবে।
আর এ বিশেষ অনুশীলনের জন্য রয়েছে বিশেষ নীতিমালাও। আপাতত বুধবার থেকে শুধুমাত্র বোলারদের অনুশীলন শুরু হবে। আর সেখানে সবাইকে ব্যবহার করতে হবে ব্যক্তিগত বল। একজন বোলার অন্যজনের বল হাতেও ছুঁয়ে দেখতে পারবে না। সপ্তাহ দুয়েক পর শুরু হবে ব্যাটসম্যানদের অনুশীলন।
ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন মোতাবেক, ‘একটি বলে একজনের ত্বক’ নিয়মটি কড়াকড়িভাবেই মানবে ইসিবি। আর তাই প্রত্যেক বোলারকে দেয়া হবে এক সেট করে বল। নিজেদের অনুশীলনে প্রত্যেককে এই বলই ব্যবহার করতে হবে। অনুশীলন শেষ হলে আবার ব্যাগের মধ্যে ভরে রাখতে হবে। যাতে একজনের বল অন্যজন ধরতে না পারে।
এছাড়াও বোলারদের অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা হবে ১১টি কাউন্টি মাঠ। একইসময়ে এক জায়গায় বেশি বোলারের অনুশীলনের সুযোগ থাকবে না। তবে এক মাঠে একজনই কোচ থাকবেন। বৃহস্পতিবার এসব দিক নির্দেশনা দিয়েছেন ইসিবির ক্রিকেট পরিচালক অ্যাশলে জাইলস।
তিনি বলেন, ‘আমরা যত বেশি সম্ভব ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করব। একটা ভেন্যুতে ছেলেরা আলাদা আলাদা তবে একই কোচের অধীনে অনুশীলন করবে। চার-পাঁচজন বোলারের জন্য একজন কোচ দেয়া হবে। অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। তারা একে অপরের কাছাকাছি আসতে পারবে না।’
এদিকে শুধু বল ব্যবহারেই সতর্কতা নয়, খেলোয়াড়দের আরও বাড়তি জিনিসও মাথায় রাখতে হবে। সবাইকে যার যার নামাঙ্কিত বা চিহ্ন দেয়া পানির বোতল ব্যবহার হবে। হাতে নিয়মিত স্যানিটাইজার লাগাতে হবে এবং বাসায় গিয়ে শাওয়ার নিতে হবে।
প্রতিদিন অনুশীলনের জন্য মাঠে ঢোকার আগে দেহের তাপমাত্রাও মাপা হবে। অনুশীলনে শুধুমাত্র ফিজিও পিপিই পরবেন। ব্যাটসম্যানদের অনুশীলন শুরু হলে তারা হাত দিয়ে বল ধরতে পারবে না। ব্যাট অথবা পা দিয়ে বল দিতে হবে বোলার বা কোচের কাছে।
এসএএস/পিআর