পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের গণহারে করোনাবিধি লঙ্ঘন, বিপাকে পিসিবি
করোনাভাইরাসের কারণে খেলাধুলা মাঠে গড়ালেও পালন করতে হচ্ছে কঠোর নিয়ম-কানুন। দর্শকহীন স্টেডিয়ামে চলছে খেলাধুলার সব কার্যক্রম। শুধু দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলাধুলা আয়োজন করা হলেও খেলোয়াড়দের মানতে হচ্ছে কঠোর নিয়ম-কানুন, চলতে হচ্ছে পরিপূর্ণ জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে।
কিন্তু পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা যেন এসবের কিছুই ধার-ধারেন না। তারা চলেন নিজের ইচ্ছামতো। এ কারণে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা গণহারে করোনা বিধি ভেঙে চলছেন। এটা নিয়েই দারুণ বিপাকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বা পিসিবি।
করোনার মধ্যেই পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল সফর করে এসেছে ইংল্যান্ড। এর পরই পাকিস্তানে শুরু হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট আসর, ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ। ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ ঘরোয়া টুর্নামেন্ট হলেও দেশটির ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ প্রতিটি দলকে এবং দলের ক্রিকেটারকে রেখেছে কঠোর জৈব সুরক্ষা বা বায়ো-বাবলের মধ্যে।
এর পরও গণহারে ঘটছে এই জৈব-সুরক্ষা বলয় ভাঙার ঘটনা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) স্বীকার করেছে যে, রাওয়ালপিন্ডিতে ৯ জন ক্রিকেটার করোনা প্রটোকল তথা বায়ো-বাবল নীতি ভঙ্গ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন জাতীয় দলেরও তিন ক্রিকেটার। এছাড়া আরও তিনজন কর্মকর্তাও বায়ো-বাবল নীতি ভঙ্গ করেছেন।
যদিও বায়ো-বাবল নীতি ভঙ্গ করার পর দ্রুত সেই ৯ খেলোয়াড়ের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সেই পরীক্ষায় তাদের সবার রেজাল্ট এসেছে নেগেটিভ। এ নিয়ে পিসিবি রয়েছে কঠোর অবস্থানে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, ‘এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।’
পিসিবি এ নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে। বায়ো-বাবল নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য যিনি বা যারা দায়ী হবেন, তাদের সঙ্গে সঙ্গে পুরো টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
পিসিবির হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের পরিচালক নাদিম খান বলেন, ‘পিসিবি এ নিয়ে খুবই বিরক্ত এবং হতাশ যে কিছু খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা, যাদের মধ্যে সিনিয়র খেলোয়াড়ও রয়েছেন যারা ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের খেলা চলাকালে বায়ো-সিকিউর বাবল ভঙ্গ করেছেন। এ কাজ করে তারা পুরো টুর্নামেন্টকেই দারুণ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলেন। নিজেদের স্বাস্থ্য এবং একই সঙ্গে তাদের বাকি সতীর্থদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে মারাত্মক হুমকির মধ্যে ফেললেন।’
পরক্ষণেই পিসিবির সেই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য একটি অপরাধ। এ নিয়ে যে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে, কর্মকর্তা এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে, সেখানে সবাই একমত হয়েছেন যে, এ অপরাধের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। সামনে এ ধরনের কোনো অপরাধের সঙ্গে সংযোগ পাওয়া গেলে- অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন নেয়া হবে।’
নাদিম খান খেলোয়াড়দের দায়িত্ববোধ নিয়ে বলেন, ‘আমরা চাইবো, অবশ্যই খেলোয়াড়রা কঠোর দায়িত্ববোধের পরিচয় দেবেন। কারণ সারাবিশ্ব আমাদের দেখে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার একেবারে ধারেকাছে রয়েছি আমরা। এ কারণে আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে।’
আইএইচএস/জেআইএম