রাবাদার এক ওভারেই তামিমের চার বাউন্ডারি

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৬ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২২

তামিম ইকবাল যেদিন নিজের মত করে ব্যাট করতে পারেন, সেদিন কোনো বোলারই আর তার সামনে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে হাজির হতে পারেননি। বরং, তামিমের ব্যাটের ভয়ঙ্কর রূপ দেখে নিজেরা ঘাবড়ে যান। এটা অনেক ম্যাচেই প্রমাণিত হয়েছে।

সেই ২০০৭ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে এভাবে জ্বলসে ওঠা দিয়ে শুরু তামিমের। এরপর যে কত শত ম্যাচে এমন রূপ দেখিয়েছেন তিনি।

এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও সেই রূপটা দেখাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের কাপ্তান। নিজেদের প্রথম ম্যাচেও তামিম নিজের বিধ্বংসী রূপ কিছুটা দেখিয়েছিলেন প্রোটিয়াদের। করেছিলেন ৪১ রান। তবে লিটনের সঙ্গে ৯৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়েছিলেন তিনিই।

তবে, তামিমের বিধ্বংসী রূপটা কাগিসো রাবাদারা দেখছে আজ ম্যাচের তৃতীয় ম্যাচে। বোলারদের সংহারমূর্তি দেখার পর ব্যাটারদের রুদ্ররূপ দেখছে প্রোটিয়া বোলাররা। বিশেষ করে কাগিসো রাবাদা। বাংলাদেশের ইনিংসের ১০ম ওভারে রাবাদা তামিমের হাতে যে মার খেলেন, তা হয়তো দীর্ঘদিন মনে রাখবেন তিনি। হয়তো এই ব্যাটিং দেখে দুঃস্বপ্নও দেখতে পারেন তিনি।

ওভারের দ্বিতীয় বলটিকেই কভারের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারির বাইরে। এরপর তৃতীয় বল গ্যাপ দিলেন। এরপর টানা তিনটি বাউন্ডারি। চতুর্থ এবং পঞ্চম বলটিকে টেনে এনে পুল করে পাঠান বাউন্ডারির বাইরে। শেষ বলটিকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন তিনি। তাবরিজ শামসি ছিলেন ফিল্ডার। তিনি নড়ে ওঠার আগেই বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে।

এক ওভারেই চারটি বাউন্ডারি মেরে কার্যত ম্যাচকে নিজেদের কাছেই নিয়ে আসলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এ রিপোর্ট লেখার সময় ১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৬৬। তামিম ৪৫ এবং লিটন রয়েছেন ১৯ রানে।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।