শেষ কবে দেখা গেছে ফুটবলে এমন উৎসব!

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ১০ জুন ২০২৫

দুপুর আড়াইটায় দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল স্টেডিয়ামের গেট। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই গ্যালারির ৯০ শতাংশ চেয়ার পূর্ণ। এখনো বাইরে যে লম্বা লাইন তাতে কোনো আসন ফাঁকা থাকার সম্ভাবনা নেই, যেমন ছিল গত ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে।

মাঝে কিছুক্ষণ তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। গ্যালারির দর্শকরা নিরুপায় হয়ে ভিজেছে। বাইরে যারা ঢোকার জন্য লাইনে ছিলেন তারাও দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছেন বৃষ্টি। সবার মনোভাব এমন ছিল যে, ঝড়-বৃষ্টি যাই আসুক তাদের লক্ষ্যচ্যুত করতে পারবে না। তাদের একটাই লক্ষ্য গ্যালারিতে গিয়ে নির্দিষ্ট আসনে বসা এবং সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের ম্যাচ দেখা।

এই দর্শক স্টেডিয়াম এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছিল সেই দুপুরের পরপরই। দুপুর ২টার দিকেই স্টেডিয়ামের চারপাশ ভরে গিয়েছিল মানুষে। অনেকের মুখে মুখে ছিল হামজা-শামিত। বাংলাদেশ বাংলাদেশ।

বাফুফে থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল দর্শকরা আগে ঢুকলেও বিরক্ত হবেন না। তাদের জন্য থাকবে নানান ধরনের বিনোদন। মাঠের দক্ষিণ পাশে গান চলছে অবিরাম। মুজা, জেফার, সাঞ্চায়ে গান গেয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন।

মাঠের ভেতর উৎসব, উৎসব মাঠের বাইরেও। কাকভেজা হয়ে অনেকে গ্যালারিতে ঢোকার নির্দিষ্ট গেট খুঁজছিলেন। কারও মাঝে বিরক্ত নেই। উৎসব-আমেজে সবাই সময় কাটাচ্ছেন। একটি ফুটবল ম্যাচ ঘিরে এমন উৎসব শেষ কবে দেখা গেছে সেই গবেষণাই চলছিল।

এই স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরেছে দীর্ঘ ৫৫ মাস পর। এখানে ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, ২০১১ সালে কোটি টাকার সুপার কাপের ফাইনালে দর্শকের ঢল নেমেছিল। এরপর বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশ ও কাতারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে দর্শক ছিল উল্লেখ করার মতো।

তবে আজকের বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে উৎসব আলাদা নানান কারণে। দীর্ঘদিন পর এই স্টেডিয়ামে ফুটবল ফেরা, স্টেডিয়াম নতুন করে সাজানো এবং হামজা-শামিতদের অন্তর্ভুক্তি এই ম্যাচটি দিয়ে আলাদা মাহাত্ম্য।

আরআই/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।