খেলা ফিরলো মাঠে, উচ্ছ্বসিত ফুটবল দুনিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৬ এএম, ১৭ মে ২০২০

জার্মান বুন্দেসলিগা দিয়েই করোনার মধ্যে মাঠে ফিরে এলো ফুটবল লিগ। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আজ থেকে শুরু হলো জার্মান বুন্দেসলিগার মৌসুমের বাকি অংশ। প্রথমদিনই অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৬টি ম্যাচ। মাঠে নেমেছে ১২টি দল।

করোনার মধ্যেই ফুটবল মাঠে ফেরানোর উদ্যোগ সবার আগে নিয়েছে জার্মানিই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা প্রক্রিয়া শেষে মাঠে গড়ালো বুন্দেসলিগা। ইউরোপের সেরা ৫টি লিগের একটি। জার্মান বুন্দেসলিগার দিকেই তাকিয়েছিল যেন সারা ফুটবল দুনিয়া। সবারই শঙ্কার বিষয়, কিভাবে শুরু করা হবে ফুটবল!

Football

এ কারণে খেলা জার্মানিতে হলেও ফ্রান্স, স্পেন, ইংল্যান্ড, ইতালি থেকে শুরু করে পুরো ফুটবল দুনিয়া অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল বুন্দেসলিগার রিটার্ন নিয়ে। অবশেষে যখন মাঠে গড়ালো, তখন উচ্চাস প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে অন্য দেশের সব নামি-দামি ফুটবলারকে।

বলতে গেলে সারা ফুটবল দুনিয়াই আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বসেছিল টিভির সামনে। পিএসজির সুপার স্টার কাইলিয়ান এমবাপে তার নিজের উচ্চাস তো কোনোভাবেই চেপে রাখতে পারেননি। টুইটারে কিছুই লেখেননি। ফুটবল এবং একটি টিভির ইমোজি দিয়ে হ্যাশট্যাগে লিখেছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এবং শাল্কে জিরোফোরের কথা। এরপর হ্যাশট্যাগে লিখছেন বুন্দেসলিগা ব্যাক।

ম্যানইউ স্টার মার্কাস রাশফোর্ড আরও উচ্চসিত। খেলা শুরুর আগে তিনি লিখেছেন, ‘ওহ মাই ডেইজ, সত্যিই আমি কোনোভাবে আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’

Mbappe

ম্যানইউর সাবেক ডাচ মিডফিল্ডার নাইজেল ডি জং ইনস্টগ্রামে নিজের একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। তিনি এই ম্যাচের বিশেষজ্ঞ ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘৬৮দিন আইসোলেশনে থাকার পর আবার জীবিত ফুটবল ফিরে আসছে মাঠে। বেইনস্পোর্টসের স্টুডিওতে যাওয়ার পথে। ভালো অথবা খারাপ যাই হোক, ফুটবল তো আবার শুরু হচ্ছেই।’

সমর্থকরাও দারুণ উচ্চসিত ফুটবল মাঠে ফেরায়। বিশেষ করে আরলিং হ্যালান্ডদের (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড) মাঠে ফেরা নিয়ে তারা বেশ আনন্দিত। বিগ অল নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী খেলা শুরুর আগে লিখেছেন, ‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না, ফুটবল ফিরে আসছে। আমার মনে হয় যেন কান্না আসছে।’

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।