করোনা ফান্ডে দান করতে নিজের সব ট্রফি বিক্রি করলেন তিনি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য সাহায্য নিয়ে দেশের সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে ভারতের ক্রীড়াঙ্গনের তারকারা। ক্রিকেট তারকা শচিন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি থেকে শুরু টেনিস কিংবদন্তি ম্যারি কম, সানিয়া মিয়া পর্যন্ত- সবাই এগিয়ে এসেছেন এই কঠিন সময়ে।

এরই মাঝে অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন ভারতের তরুণ গলফার অর্জুন ভাটি। করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করা সবশেষ ক্রীড়াবিদ তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করোনা ফান্ডে ৪ লাখ ৩০ হাজার রুপি দান করেছেন তিনি।

আর এটি করতে গিয়ে নিজের ৮ বছরের গলফ ক্যারিয়ারের সকল অর্জন তথা ট্রফি বিক্রি করে দিয়েছেন ১৫ বছর বয়সী অর্জুন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত তার অর্জন ছিল ১০২টি ভিন্ন ভিন্ন ট্রফি। বর্তমানে উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতিতে ১০২ জন ভিন্ন মানুষের কাছে এই ট্রফিগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।

বয়স মাত্র ১৫ হলেও, অর্জুনের গলফ ক্যারিয়ার সাফল্যমণ্ডিত। এরই মধ্যে তিনবার জিতেছেন বিশ্ব জুনিয়র গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আর জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার শিরোপা ছিল অগণিত। সবগুলোই তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন মহৎ উদ্যোগে।

গ্রেটার নয়ডার এ গলফার সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, আমাদের দেশ এখন চরম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খুবই সংকটময় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে। আমি সবাইকে আহ্বান জানাবো দেশের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য। নিজের সাধ্যমত অংশগ্রহণ করুন।’

নিজের ট্রফি বিক্রির কথা জানিয়ে অর্জুন আরও বলেন, ‘গত ৮ বছরে আমি ১০২টি ট্রফি জিতেছি। আমি এগুলো বিক্রি করে দিয়েছি অনুদান সংগ্রহের জন্য। যা থেকে আমি ৪ লাখ ৩০ হাজার রুপি দিতে পেরেছি করোনা ফান্ডে। আমি সবাইকে বলবো আপনারা সেলফ আইসোলেশন মেনে সময়টা কাজে লাগান।’

ক্যারিয়ারে অর্জিত এ ট্রফিগুলো নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের কাছেই বিক্রি করেছেন বলে জানান অর্জুন। তিনি বলেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজন, আমার বাবা-মায়ের বন্ধুরা এই ট্রফিগুলো কিনে নিয়েছেন। তবে ট্রফিগুলো এখনও আমার বাড়িতেই রয়েছে। লকডাউন শেষ হলে আমি এগুলো তাদের কাছে পৌঁছে দেব।’

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।