নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন ১২ এপ্রিল


প্রকাশিত: ০৭:৩৭ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে না আসায় তার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আবার পিছিয়ে আগামী ১২ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ এম আমিনুল ইসলাম এই শুনানির জন্য পরবর্তী নতুন এই তারিখ ঠিক করে আদেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে কারাগারে আটক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা শহীদুল ইসলাম, ইউছুফ হোসাইন ও সেলিম ভূঁইয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নাইকো মামলায় ১১ জনের মধ্যে খালেদাসহ ৭ জন অভিযুক্ত আদালতে হাজির না হওয়ায় আইনজীবীর মাধ্যমে তারা সময়ের আবেদন করেন। খালেদার পক্ষে সময় আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নাল আবেদীন মেজবাহ। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করে দেন। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর এই শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও খালেদার সময়ের আবেদনে তা পিছিয়ে যায়।

তার আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আজ বুধবার তারিখ ধার্য করে দেন আদালত।

এর আগে নাইকো সংক্রান্ত এ দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৩০ নভেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে গত বছরের ১৮ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট।

খালেদার করা আবেদন খারিজ করে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া হয় ওই রায়ে। সেই সঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ি তিনি আত্মসমর্পণ করেন।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করেন।
 
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করে আদালত। পরে ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এদিকে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের এ রায়ের কপি পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানায়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

এফএইচ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।