রাবিতে বহিরাগতদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ


প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
 
এতে রাবি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ, এহসান, মিনহাজ ও হুসাইন আহত হয়েছেন। তবে এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে দুইজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, মেসি ও নাইম। তারা নগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা।
 
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাবাশ বাংলাদেশ মাঠে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষ এবং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ খেলা হচ্ছিল। এ সময় তাদের খেলার পিচের মধ্যে এসে অহেতুক ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি এবং নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছিলো১০/১২ জন স্থানীয় যুবক। এই বিষয়টি নিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের নিষেধ করলে তারা কোন তোয়াক্কা না করে সমস্যা সৃষ্টি করতেই থাকে। এই বিষয়ে তাদের পুনরায় নিষেধ করা হলে স্থানীয়রা ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বিভাগের শিক্ষার্থী আতউল্লাহ, এহসান, মিনহাজ ও হুসাইনকে কিল-ঘুষি মারে। পরে দু`পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা পালিয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, মাঝে মধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহিরাগতরা মারধর করে যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বার বার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস আমাদের তাই মাঠে খেলার অধিকারও আমাদের। কিন্তু আমদের মাঠে এসে শুধু বহিরাগতরা খেলছেই না বরং তারা আমাদের মেরেও চলে যাচ্ছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা আর আশ্বাস নয় আমরা এর প্রতিকার দেখতে চাই।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই খেলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে মাঠ বরাদ্দ নেয়া হয়নি।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় যারা মারধর করেছে তাদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি মাঠ বরাদ্দের বিষয়ে বলেন, এখন থেকে প্রতিটি মাঠ নজরদারিতে রাখা হবে। অনুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী মাঠে যাতে খেলতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাশেদ রিন্টু/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।