টমেটো চাষ করে ইয়াকুবের বেকারত্ব জয়


প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

টমেটো চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ইয়াকুব আলী। পড়াশুনা শেষ করে কৃষি কাজে জড়িয়ে সফলতা অর্জন করেন দাশুড়িয়ার খয়েরবাড়িয়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী।

ইয়াকুব কৃষি খামারের পাশাপাশি মৎস্য চাষও শুরু করেন। এবার তিনি তার খামারের এক বিঘা ৫ কাঠা জমিতে হাইব্রিড জাতের টমেটো লাগিয়েছেন, ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এতে তার খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে এই জমি থেকে তিনি ২০৩ মণ টমেটো উত্তোলন করে লক্ষাধিক টাকার উপরে বিক্রি করেছেন।

ইয়াকুব কৃষি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. ইয়াকুব আলী বলেন, দুইবার হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের টমেটো নষ্ট হয়ে ঈশ্বরদীর অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে টমেটো গাছ জাংলায় দেয়াতে বৃষ্টির ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।

টমেটো গাছের চারিদিকে মাটি খুঁড়ে জৈব সার প্রয়োগ করায় ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। মাত্র এক বিঘা ৫ কাঠা জমিতে হাইব্রিড জাতের টমেটো লাগিয়ে অন্য কৃষকদের চাইতে ফলন হয়েছে ভালো। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বিপরীতে এই জমি থেকে ২০৩ মণ টমেটো উত্তোলন করে লক্ষাধিক টাকার উপরে বিক্রি করেছি।  

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. হাসানুল কবীর কামালী জানান, সরেজমিনে দেখা গেছে ইয়াকুবের খামারে প্রচুর পরিমাণে টমেটো ধরেছে। দেশি টমেটোর চাইতে হাইব্রিড টমেটো তুলনামূলক অনেক কম পচনশীল। ঈশ্বরদী উপজেলায় সব চাইতে ভালো টমেটো হয়েছে ইয়াকুবের খামারে। তিনি আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন।

ইয়াকুব মাছ চাষের পাশপাশি কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে সকল প্রকার সবজি চাষ করে থাকেন। কৃষক ইয়াকুবের খামারে এখনো প্রচুর পরিমাণে টমেটো ধরে আছে।

আলাউদ্দিন আহমেদ/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।