গাড়ির ড্যাশবোর্ডের কোন আলোর কী অর্থ জানেন?
গাড়ির ড্যাশবোর্ডে সাধারণত চার রঙের আলো দেখা যায়: লাল, হলুদ বা কমলা, সবুজ বা নীল। প্রতিটি আলো গাড়ির ভেতরের যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক অবস্থার সংকেত দেয়। এসব আলোর রং আসলে আপনাকে জানায় গাড়ি এখন নিরাপদ অবস্থায় আছে কিনা, কোনো কিছু পরীক্ষা দরকার কি না, নাকি বিপদের মুখে রয়েছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন রং কী অর্থ বোঝায়-
লাল লাইট
১. ব্রেক বারনিং লাইট: এই আলো কম ব্রেক, জীর্ণ ব্রেক প্যাড বা ব্রেক সিস্টেমের অন্যান্য সমস্যা নির্দেশ করে। পার্কিং ব্রেক ছেড়ে দেওয়ার পরেও যদি এটি জ্বলতে থাকে, তাহলে অবিলম্বে গাড়ি থামাতে হবে এবং একজন মেকানিকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
২. ইঞ্জিন অয়েল প্রেশার লাইট: ইঞ্জিনে তেলের চাপ বিপজ্জনকভাবে কম হলে এই আলো জ্বলতে থাকে, যা ইঞ্জিনের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। এক্ষেত্রে অবিলম্বে গাড়ি থামাতে হবে, তেলের স্তর পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনে পুনরায় পূরণ করতে হবে। যদি সমস্যাটি থেকে যায়, তাহলে একজন মেকানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৩. ইঞ্জিন লাইটের পরীক্ষা: এটি ইঞ্জিনের সমস্যা নির্দেশ করে, যেমন ত্রুটিপূর্ণ সেন্সর বা যান্ত্রিক সমস্যা। এটি উপেক্ষা করলে গাড়ির গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।
৪. ব্যাটারি চার্জ লাইট: যদি এই আলোটি ক্রমাগত জ্বলতে থাকে, তাহলে এটি বৈদ্যুতিক সিস্টেমের সমস্যা নির্দেশ করে। এটি ব্যাটারি বা অল্টারনেটরের সমস্যা হতে পারে।
হলুদ বা কমলা আলো
১. টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম লাইট: এই আলোটি তখন জ্বলে ওঠে যখন টায়ারের চাপ খুব কম হয়ে যায়, যা প্রায়শই পাংচারের ইঙ্গিত দেয়। গাড়ি থামাতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টায়ারগুলো পরীক্ষা করতে হবে।
২. এবিএস বারনিং লাইট: এটি অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেমের সমস্যা নির্দেশ করে। এর অর্থ ব্রেকগুলো কাজ করছে, কিন্তু এবিএস বৈশিষ্ট্যটি আর কার্যকরী নয়। যদি এই আলোটি ক্রমাগত জ্বলতে থাকে, তাহলে এটি একজন মেকানিকে দিয়ে পরীক্ষা করান।
সবুজ বা নীল আলো
১. হাই বিম লাইট ইন্ডিকেটর: এই আলোটি নীল হেডলাইট প্রতীক হিসেবে প্রদর্শিত হয় এবং নির্দেশ করে যে হাই বিম হেডলাইটগুলো জ্বলছে। এটি কোনো অ্যালার্ট নয়, কেবল একটি বিজ্ঞপ্তি।
২. টার্ন ইন্ডিকেটর লাইট: এই তীর-আকৃতির আলোগুলো নির্দেশ করে যে টার্ন সিগন্যালগুলো কাজ করছে।
আরও পড়ুন
পুরোনো গাড়ি কিনে জিততে চাইলে খেয়াল রাখুন ৩ বিষয়
কতদিন পর পর গাড়ি পরিষ্কার করানো ভালো
কেএসকে/এমএস