ইউটিউব শর্টস থেকে আয় বাড়াবেন যেভাবে
ইউটিউব শর্টস এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছে দ্রুত আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। তবে শুধু ভিডিও আপলোড করলেই আয় শুরু হয় না ইউটিউবের নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয় এবং সঠিকভাবে শর্টস মোনিটাইজেশন চালু করতে হয়। প্রথম শর্তই হলো ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া। এর জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং গত ৯০ দিনে ১ কোটি শর্টস ভিউ। অর্থাৎ সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার শর্টস নিয়মিত ভাইরাল হওয়াটাও জরুরি।
ওয়াইপিপি-তে যুক্ত হওয়ার পরেও আয় তৎক্ষণাৎ শুরু হয় না। আপনাকে আলাদাভাবে শর্টস মনিটাইজেশন মডিউল সক্রিয় করতে হয়। এই মডিউল চালুর পর যে ভিউ আসবে, কেবল সেটিই আপনার রেভিনিউ হিসেবে গণ্য হবে। এর আগে পাওয়া কোনো ভিউকে ইউটিউব আয় হিসেবে বিবেচনা করে না। এই নিয়ম ইউটিউব বিজ্ঞাপন আয় এবং ইউটিউব প্রিমিয়াম-উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
শর্টসে আয় পেতে হলে ভিডিও অবশ্যই মৌলিক হতে হবে। অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে ভিডিও কপি করে দেওয়া, কনটেন্ট চুরি করা বা ভিউ বট ব্যবহার করার মতো কাজ করলে আয় তো দূরের কথা, আপনার চ্যানেলই ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ভিডিওতে সংগীত ব্যবহার করলে আয়ের নির্দিষ্ট অংশ শিল্পী ও মিউজিক লাইসেন্সের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। তাই লাইসেন্স ফ্রি বা নিজস্ব সাউন্ড ব্যবহার করাই উত্তম।
শর্টস অ্যাডস থেকে পাওয়া মোট অর্থ প্রথমে একটি ক্রিয়েটর পুল-এ জমা হয়। এরপর প্রতিটি ক্রিয়েটরকে তার মোট ভিউয়ের অনুপাতে অংশ দেওয়া হয়। এখানে মোট আয়ের ৪৫ শতাংশ সরাসরি ক্রিয়েটর পান। ভিডিওতে গান ব্যবহার করা থাকলে লাইসেন্স খরচ কেটে নেওয়া হয়। একইভাবে ইউটিউব প্রিমিয়াম থেকেও ক্রিয়েটররা ৪৫ শতাংশ রেভিনিউ পান।
সব মিলিয়ে, ইউটিউব শর্টস থেকে আয় পুরোপুরি নির্ভর করে আপনার কনটেন্ট কতটা মৌলিক, কতটা ভিউ পাচ্ছে এবং কতটা এনগেজমেন্ট তৈরি করছে তার ওপর। যদি নিয়ম মেনে ধারাবাহিকভাবে মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করেন, তাহলে শর্টস হতে পারে আপনার এক দুর্দান্ত আয়ের উৎস।
আরও পড়ুন
ইউটিউবে পছন্দের ভিডিও খুঁজে পাওয়া আরও সহজ হবে
এবার কনটেন্টের ওপর কড়া নজর রাখবে ইউটিউব
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএসকে/