ফোনে স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগানো ভালো নাকি খারাপ?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সারাক্ষণ ফোন ব্যবহার করার ফলে স্ক্রিনে নানান ধরনের দাগ পড়ে যেতে পারে। কিংবা হাত থেকে পড়ে গেলে স্ক্রিনটি ফেটে যেতে যারে বা স্ক্র্যাচ পড়ে যেতে পারে। এজন্য সবাই ফোন কেনার সঙ্গে সঙ্গেই স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগিয়ে নেন। কিন্তু জানেন কি? স্ক্রিন প্রোটেক্টর ভালোর চেয়ে ফোনের ক্ষতি বেশি করে।

কার্ভড ডিসপ্লে স্মার্টফোনগুলোতে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার জন্য লিক্যুইড ইউভি অ্যাঢেসিভ প্রোটেক্টর ব্যবহারে সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আসলে ওই ধরনের প্রোটেক্টরগুলো ডিভাইসের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে স্ক্রিন প্রোটেক্টর ফোন নষ্ট করে দিতে পারে-

আরও পড়ুন
ফোনে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন আসা বন্ধ করবেন যেভাবে

স্ক্রিন প্রোটেক্টরগুলো সাধারণত স্ক্রিন গার্ড অথবা ট্যাম্পার্ড গ্লাসের মতো নয়। কারণ এর মধ্যে থাকে ইউভি গ্লু কিওরিং প্রক্রিয়া। কিন্তু স্ক্রিন প্রোটেক্টরগুলো আমাদের ডিভাইসকে আঘাত করে। আসলে গ্লুর কারণে ইনস্টলেশনের সময় সমস্যা হয়।

অধিকাংশ মানুষই ওই স্ক্রিন প্রোটেক্টর ইনস্টল করানোর জন্য স্থানীয় অ্যাকসেসরির দোকানে যান। আর সেখানেই সব সমস্যা। এই ধরনের প্রোটেক্টর ইনস্টল করার জন্য প্রথমে ডিভাইসের ডিসপ্লে-র উপর ফেলা হয় গ্লু। এর উপরে কার্ভড গ্লাস প্রোটেক্টর লাগানো হয়। গ্লু সমান ভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার পরে একটি ইউভি আলো ব্যবহার করা হয়। যাতে সেটা কঠিন হয়ে যায়। আর ডিসপ্লের উপরে কাচটি শক্ত হয়ে এঁটে বসে যায়।

আসলে এই গ্লু প্রয়োগ করার সময় বেশিরভাগ মানুষ ইয়ারপিস স্পিকার্স, বটম স্পিকার্স এবং সাইড বাটনের মতো সংবেদনশীল অংশগুলোকে ঢাকা দেওয়া হয় না। তাই বেশিরভাগ সময় অতিরিক্ত পরিমাণ গ্লু তার মধ্যে ঢুকে যায়। আর একবার ইউভি আলো জ্বালালে সেই অংশেই তা কঠিন হয়ে যায়। আর তাতে ডিভাইস নষ্ট হয়ে যায়। ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনার ফোনে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অপ্রত্যাশিত ভাবে ফোন রিস্টার্ট, বাটন ম্যালফাংশন, স্পিকার নয়েজ এবং ব্যাটারি কভারের লেদার উঠে যাওয়া।

আরও পড়ুন
ফোন থেকে নম্বর ডিলিট হয়ে গেলে ফিরে পাবেন যেভাবে
ফোন হ্যাক হওয়া রুখবেন যেভাবে

সূত্র: মেক ইউজ অব, অ্যান্ড্রয়েড সেন্ট্রাল

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।