টাটা হ্যারিয়ার ইভিতে যেসব সুবিধা পাবেন

গাড়ির বাজারে অন্যতম জনপ্রিয় গাড়ির ব্র্যান্ড টাটা। এরই মধ্যে বাজারে অসংখ্য গাড়ি এনেছে বাজারে। নতুন একটি এসইউভি আনলো বাজারে। টাটা হ্যারিয়ার ইভি। টাটা তার অন্যান্য ইভির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হ্যারিয়ার ইভিকে ডিজাইন করেছে। সামনের দিকে, হ্যারিয়ার ইভিতে একটি নতুন ক্লোজড গ্রিল রাখা হয়েছে।
গাড়িতে থাকছে নতুন অনেক ফিচার। গাড়ি কেনার আগে আসুন এর ফিচার, সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানা যাক-
ডিজাইনের ক্ষেত্রে হ্যারিয়ারের মতোই রেখেছে। এর ক্লোজড অব গ্রিল, বিভিন্ন অ্যালয় (আমাদের টপ-এন্ড ভার্সনে ১৯ ইঞ্চি) এবং কিছু ইভি স্পেসিফিক টাচ রয়েছে। স্টিলথ সংস্করণ আছে যা সম্পূর্ণ কালো রঙের সঙ্গে আরও বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে হ্যারিয়ার ইভি দেখতে আগের মতো হলেও এর ভালো পেন্ট ফিনিশিং ও শক্ত বিল্ড কোয়ালিটি রয়েছে।
গাড়ির ইন্টেরিয়রে সাধারণ রঙের স্পেসিফিকেশন আইসিই হ্যারিয়ারের মতো নয় বরং এর পরিবর্তে টাটা ইভির মতো হালকা শেড ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে কালো/নীল এবং গ্রে ব্যবহার করা হয়েছে।
ড্যাশেও আলাদা প্যাটার্ন রয়েছে গাড়ির। আইসিই হ্যারিয়ার গাড়ি থেকে ফিট/ফিনিশ উন্নত করা হয়েছে। ডিজাইন একই রকম তবে একটি বিশাল ১৪.৫৩-আইসি টাচস্ক্রিন রয়েছে, যা একটি কিউএলইডি ডিসপ্লে এবং সেন্টার কনসোলটিতে একটি রাউন্ড মোড সিলেক্টর রয়েছে যা আমাদের মতে অনেক বড়। এতে একটি গিয়ার সিলেক্টরও পাবেন।
ডুয়াল-টোন ড্যাশবোর্ডের উপরে থাকা ১৪.৫৩-ইঞ্চি ইনফোটেনমেন্ট স্ক্রিনটিতে থাকবে বিশ্বের প্রথম স্যামসাং নিও কিউএলইডি ডিসপ্লে, যা আরও ভালো মানের ছবি প্রদর্শন করবে। স্ক্রিনের ডান দিকে একটি ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে রয়েছে এবং এর ঠিক সামনে একটি ফোর-স্পোক স্টিয়ারিং হুইল থাকবে। যার উপর একটি ইলিউমিনেটেড টাটা লোগো আছে। এর বুট স্পেস ৫০২ লিটার। একটি ফ্রাঙ্কও রয়েছে যার সঙ্গে ৬৭ লিটার।
ফিজিক্যাল বোতামও পাবেন গাড়িতে। জায়গা যথেষ্ট রয়েছে গাড়িতে, আসনগুলোও আরামদায়ক, পেছনের সিটে চমৎকার হেডরুম/লেগরুম রয়েছে ও সাফারি থেকে একটি পাওয়ার্ড বস মোড রয়েছে। হ্যারায়ির ইভিতে একটি সমতল মেঝে রয়েছে যার অর্থ পিছনে তিনজন বসতে পারে, কিন্তু মাঝখানে কোনো হেডরেস্ট নেই।
হ্যারিয়ার ইভিতে একটি ৫৪০-ডিগ্রি সারাউন্ড ক্যামেরা ভিউও রয়েছে। কোনো চাকা যদি কার্বের খুব কাছাকাছি চলে আসে, তাহলে সেক্ষেত্রে গাড়ির চালককে সতর্ক করে দিতে পারবে এই ক্যামেরাটি।
হ্যারিয়ার ইভির অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে আছে-একটি প্যানোরামিক সানরুফ, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং, ভেন্টিলেটেড এবং পাওয়ার্ড ফ্রন্ট সিট, ডলবি অ্যাটমস ৫.১-সহ ১০ স্পিকার সাউন্ড সিস্টেম, ভেহিকেল-টু-লোড এবং ভেহিকেল-টু-ভেহিকেল ফাংশনালিটি, ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেমের জন্য ওভার-দ্য-এয়ার আপডেট, কানেক্টেড কার টেক, চারটি ড্রাইভ মোড, অল-ডিজিটাল ইনসাইড রিয়ারভিউ মিরর, অটো পার্ক অ্যাসিস্ট, সিক্স টেরেন মোড এবং আরও নানা কিছু।
গাড়িটির আরডব্লিউডি ৭৫কিলোওয়াটআওয়ার ভ্যারিয়েন্টটিও একবার চার্জ দিলেই ৬২৭ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। চার্জিংয়ের কথা বলতে গেলে একটি ৭.২কিলোওয়াট এসি চার্জার হ্যারিয়ার ইভি-কে ১০.৭ ঘণ্টার মধ্যে ১০-১০০ শতাংশ রিচার্জ করতে পারে। যেখানে একটি ১২০হ্যারিয়ার ইভি ডিসি ফাস্ট চার্জার এসইউভির ব্যাটারি ২৫ মিনিটের মধ্যে ২০-৮০ শতাংশ চার্জ করে দেবে।
টাটা হ্যারিয়ার ইভি এম্পাওয়ার্ড অক্সাইড, নৈনিতাল নক্টার্ন, প্রিস্টিন হোয়াইট এবং পিওর গ্রে-চারটি রঙে এসেছে। হ্যারিয়ার ইভির বেস রিয়ার-হুইল ড্রাইভ ঘণ্টা প্রতি ৬৫ কিলোওয়াট ভ্যারিয়েন্টটির দাম শুরু হচ্ছে ২১ লাখ ৪৯ হাজার রুপি থেকে।
- আরও পড়ুন
- ফক্সওয়াগন নতুন টিগুয়ান আর-লাইন আনলো বাজারে
- পুরোনো গাড়ি কিনে জিততে চাইলে খেয়াল রাখুন ৩ বিষয়
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, অটো কার ইন্ডিয়া
কেএসকে/জিকেএস