এশিয়ায় ফেসবুকের রাজস্ব আয় ৫৭ শতাংশ
প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় বিশ্বের অন্য বাজারগুলো থেকে বেশি বিজ্ঞাপন রাজস্ব আয় হয়েছে সাইটটির। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্বের ৫১ শতাংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বাজারগুলো থেকে। আর রাজস্ব প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বিশ্বের অন্য বাজারগুলোর তুলনায় সবচেয়ে এগিয়ে এশিয়া অঞ্চল। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে এশিয়ায় ফেসবুকের রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৭ শতাংশ। খবর বিজনেস ইনসাইডার।
ফেসবুক সাধারণত শতাংশ হিসাবে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করে থাকে। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাইরে অন্য অঞ্চলের বিজ্ঞাপন বিক্রির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করলো প্রতিষ্ঠানটি। সাইটটির অধিকাংশ বিজ্ঞাপনদাতাই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক। কিন্তু বেশকিছু দিন ধরেই এ দুই বাজারের বাইরের বিজ্ঞাপনদাতাদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত বৈশ্বিক বাজারে অনলাইন বিজ্ঞাপন খাতের প্রসার ঘটানোই এ প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য, যা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোয় প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন রাজস্ব প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্লেষকরা জানান, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জনসংখ্যা অন্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি। বিপুল জনসংখ্যার এ অঞ্চলে ব্যবসা বাড়াতে কাজ করছে শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এ বিষয়ে ফেসবুকের গ্লোবাল মার্কেটিং সলিউশন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যারোলিন এভারসন বলেন, ‘ফেসবুকের পরবর্তী শতকোটি গ্রাহক হবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বাজারগুলোয়।’
প্রথম প্রান্তিকে বিজ্ঞাপন খাতের রাজস্ব ৪৬ শতাংশ বেড়ে ৩৩০ কোটি ডলারের ঘরে দাঁড়িয়েছে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্ব অর্জিত হয়েছে ৩৫০ কোটি ডলার। বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ৫১ শতাংশ বা ১৭০ কোটি ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বাজারগুলো থেকে। এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন রাজস্ব বেড়েছে ৩৬ শতাংশ।
ফেসবুকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্রুত বর্ধনশীল বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। বাজার সম্প্রসারণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ইউরোপ অঞ্চল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যার নেতিবাচক প্রভাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতেও পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এআরএস/আরআইপি
