পুরোনো স্মার্টফোন কাজে লাগানোর ৫ উপায়

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২২

সারাক্ষণ স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে থাকেন। কখনো সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল কখনো বা সিনেমা, নাটক দেখা। স্মার্টফোনে এখন সব কাজই করা যায়। ক্লাসের বইয়ের পিডিএফ থেকে শুরু করে জরুরি কাগজপত্র সবই সংরক্ষণ করা যায় স্মার্টফোনে। তবে যারা স্মার্টফোন ঘন ঘন বদলে ফেলেন তারা পুরোনো ফোনটি কী করেন? হয় ঘরে ফেলে রাখেন কিংবা বিক্রি করে দেন।

ঘরে ফেলে না রেখে বা কম দামে বিক্রি না করে জরুরি কাজে লাগাতে পারেন। বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও পুরোনো স্মার্টফোনকে কাজে লাগানোর আরও কিছু উপায় জেনে নিন-

>> পুরনো ফোনটির যদি স্ক্রিন ঠিকঠাক থাকে তাহলে এটিকে স্টোরেজ ডিভাইসের মতো ব্যবহার করতে পারেন। আপনার বর্তমান ফোনের ছবি, ভিডিও, ফাইল সেখানে রেখে দিন। এতে এই ফোনেও বাড়তি কিছু স্টোরেজ পাবেন।

>> এলার্ম ক্লক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যদিও আপনার বর্তমান ফোন দিয়েই কাজটি করতে পারেন। তবে বাড়ির অন্য সদস্যদের বা শিশুদের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন।

>> গাড়ির ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপ স্টোর থেকে যে কোনও একটি ড্যাশ ক্যামেরা অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন। এবার গাড়িতে একটি ফোন হোল্ডার বসিয়ে নিলেই কাজ শেষ। ক্যামেরার মোবাইলের মাধ্যমেই গাড়ির পিছনের রাস্তাঘাট দেখে নিতে পারবেন। যা আপনাকে দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করবে।

>> শিশুদের বুক রিডার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। বড়দের ব্যবহৃত ফোনটিতে জরুরি বিভিন্ন অ্যাপ থাকে। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউবসহ নানান অ্যাপ। যা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখেই ভালো। পুরোনো ফোনে শিশুর উপযুক্ত বই, কার্টুন বা শিক্ষামূলক ভিডিও ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।

>> পুরোনো স্মার্টফোনকে ই-রিডার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য প্রথমে এতে থাকা আগের সব অ্যাপ্লিকেশন মুছে ফেলুন। প্রতিটি রিডিং অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে লাইব্রেরি ডাউনলোড করে নেওয়ার পর আর ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে না। আপনি যেখানেই যান না কেন পকেটের ভেতরেই থাকবে ই-বুক এবং অডিও বুকের বিশাল লাইব্রেরি।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।