মোস্তাফা জব্বার
এসএমএস পাঠিয়েই আগে খুশি হতাম, এখন ফোরজিও যথেষ্ট নয়

বাংলাদেশের মানুষ একসময় এসএমএস (খুদে বার্তা) পাঠিয়েই খুশি হতো। এখন ফোরজি নেটওয়ার্কও তাদের কাছে যথেষ্ট মনে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘ভয়েস কলের প্রাধান্য এখন আর নেই। এটা ডাটানির্ভর কলে রূপান্তরিত হচ্ছে। এর পেছনে বড় হাতিয়ার অবকাঠামো। ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় টেলিকম এখন বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।’
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) টেলিকম অবকাঠামো যৌথভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে টেলিটক, বাংলালিংক ও সামিট টাওয়ার্স লিমিটেডের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অপারেটর ও এনটিটিএনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অবকাঠামো শেয়ারিং জরুরি। অবকাঠামো শেয়ারিং মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করবে। চার অপারেটরকে চার টাওয়ারে যুক্ত করার পরিবর্তে এক টাওয়ারে চার অপারেটরকে যুক্ত করতে পারলে ব্যবহারকারীরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি বিনিয়োগও কমে আসবে। ফলে অপারেটররাও লাভবান হবেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি যৌথভাবে অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারি, তাহলে বিদ্যুৎ ও অন্যান্য শক্তির সঠিক ব্যবহার হবে। সব এলাকায় সব অপারেটর সেবা প্রদানে সক্ষম হবে। মন্ত্রী অবকাঠামো উন্নয়নকারীদের সম্মিলিতভাবে টেলিকম নেটওয়ার্ক উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জানাচ্ছি।
টেলিযোগাযোগ খাতের রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৯ বছরের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে চারটি মোবাইল অপারেটরকে দেশে মোবাইল সেবার অনুমোদন দেন। এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। ভিস্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রবর্তন ও কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা তার হাত ধরেই শুরু হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আমরা আইটিইউ ও ইউপিইউয়ের সদস্যপদ অর্জন করি। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশে ইন্টারনেট বিপ্লব বা তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস ও সামিট টাওয়ার্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আল ইসলাম।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক আস, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান, সামিট টাওয়ার্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তিটির অধীনে এ দুই টেলিকম অপারেটর টাওয়ার শেয়ারিং নীতিমালাসহ সব নির্দেশিকা ও আইন অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে অবকাঠামো শেয়ারিং করবে। সামিট টাওয়ার্স লিমিটেড এ উদ্যোগে সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।
এইচএস/এএএইচ/এএসএম