রবির ‘নেট জিরো স্মার্ট বাংলাদেশ’ গোলটেবিল অনুষ্ঠিত

সরকারি বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের নেট জিরো টার্গেট পূরণ সম্ভব বলে মত দিয়েছেন রবি আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকের বক্তারা।
সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে রবি এবং সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে ‘Creating a Net Zero Smart Bangladesh’ শীর্ষক ওই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
গোলটেবিলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানাসহ টেকসই উন্নয়ন খাতে কর্মরত সরকারি বেসরকারি ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার হামলার হুমকি দেওয়া হ্যাকারদের আইডি বন্ধ
এসময় শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, কার্বন নিঃসরণের সঙ্গে কার্বন অপসারণের জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। সেজন্য বরাদ্দও রয়েছে। তবে সেটি পরিপূরণের মানসিকতা লাগবে। জনসাধারণের আচরণগত পরিবর্তন লাগবে সেই সঙ্গে। প্রত্যেকের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উত্তম ব্যবহার ভালোভাবে বুঝতে হবে।
তিনি বলেন, আবার এজন্য সরকারের মতো প্রতিটি করপোরেটদের নিজস্ব পলিসি দরকার। কারণ কেউ বা কোনো পক্ষ নেট জিরো টার্গেট একা পূরণ করতে পারবে না।
শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, আইইএ (আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা) ২০৫০ সালে নেট জিরোর টার্গেটের কথা বলছে। আর আমাদের সরকার ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে। সেজন্য আমাদের এ টার্গেট ২০৪১ সালের মধ্যেই পূরণ করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহযোগী হিসেবে রবি কাজ করে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় রবি ‘অ্যাডভান্সিং টু নেট জিরো’ নামের একটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইই এফএ)-এর এনার্জি ফাইন্যান্স অ্যানালিস্ট শফিকুল আলম।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইইএ)-এর প্রকাশিত পরিকল্পনায় জ্বালানি খাতের এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ৪০০টি মাইলফলক আছে যার পরিচালক হিসেবে রয়েছে বিদ্যুৎ প্রকল্প, পরিবহন, শিল্প কারখানা, দালান কোঠা এবং উদ্ভাবনীয় খাত। বিনিময়ে পুরো দেশের জন্য নানা সুবিধার মাঝে অন্যতম প্রভাব ফেলবে চাকরি স্বাস্থ্য ও মূল্য খাতে।
এসময় রবি জানায়, এরইমধ্যে নেট জিরো ব্যস্তবায়নে রবি তাদের ১৩ শতাংশ টাওয়ারে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু করছে। যা ক্রমেই বাড়ছে। এছাড়া প্রধান অফিসসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। নেট জিরোর টার্গেট ব্যস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটি অঙ্গিকারবদ্ধ।
এদিকে স্রেডার চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা বলেন, নেট জিরো ব্যস্তবায়নে প্রচলিত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু যেভাবে আমাদের দেশে শিল্পায়ন হচ্ছে এতে এটি একটি ব্যস্তবতা। এ দেশে কোনোকিছু বন্ধ করার আগে এর পেছনে অনেক ক্ষতিকর দিকগুলো দেখতে হয়।
মুনিরা সুলতানা আরও বলেন, তবে যেভাবেই হোক আমাদের নিজস্ব রিসোর্স দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য সরকার এনার্জি সহায়ক ভবন ও যন্ত্র ব্যবহারের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। এরজন্য একটি নীতিমালাও হচ্ছে। অডিট টিম হচ্ছে। তখন ভবন বা কারখানা এনার্জি সহায়ক না হলে অনুমোদন পাবে না।
এনএইচ/এমএইচআর/এএসএম