কাদিগড় জাতীয় উদ্যানে যেভাবে যাবেন

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

মেহেদী হাসান আবদুল্লাহ্

সবুজই প্রাণের স্পন্দন। বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র। সবুজ মানেই প্রকৃতি। আর প্রকৃতি মানেই প্রাণ। আর প্রাণের খোঁজেই মেলে জীবনের স্বাদ। এমনই এক সবুজের সমারোহ কাদিগড় জাতীয় উদ্যান।

যদি সবুজের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় অবস্থিত এ জাতীয় উদ্যান থেকে।

ময়মনসিংহ থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দক্ষিণে, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে ভালুকা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কাদিগড় জাতীয় উদ্যানের অবস্থান।

jagonews24

লোকমুখে কথিত আছে, এক সময় এই জঙ্গলের কাঠ ও গাছ সরকারি টেন্ডারের মাধমে কাদির মিয়াঁ নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী কিনতেন। তার একক আধিপত্তের কারণে অন্য কেউই অংশ গ্রহণ করতে পারতো না।

তার এই দাপুটে স্বভাবের কারনেই পরবর্তী সময়ে জঙ্গলটির নাম হয়ে যায় কাদির মিয়াঁর জঙ্গল, যা এখন কাদিগড় জাতীয় উদ্যান নামে পরিচিত।

শাল, মনমোহিনী গজারী বাগান, সেগুন বাগান বিভিন্ন প্রজাতির ওষুধি ও ফলজ বৃক্ষের দেখা পাওয়া যায় এখানে। প্রাণীকূলের মধ্যে- হনুমান, বানর, শিয়াল, শজারু, মেছো বিড়াল, বনবিড়াল, বাগডাশ ও বেজী দেখতে পাওয়া যায়।

jagonews24

এ ছাড়াও আছে কয়েক প্রজাতির সাপ, ব্যা, তক্ষক ও গুইসাপ। হরেক রকমের পাখির কিচির মিচির আর প্রজাপতির রঙিন পাখা মেলে ওড়াউড়ি দেখতে পাবেন এই বনে।

মনমোহিনী গজারি, সেগুন বাগানসহ সবুজের এই সমারোহতে খুব ভালো সময় কাটাতে পারবেন। প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্যে এই সবুজের সমারোহ প্রকৃতিপ্রেমীকে করে তোলে বিমোহিত।

ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা মিলতে পারে হনুমান ও বানরের। তবে বর্ষাকালে কাঁচা রাস্তা থাকায় একটু অসুবিধা হয় ভ্রমণে। শুষ্ক মৌসুমে এখানে অনেক মানুষ বনভোজনে আসেন।

jagonews24

এই জাতীয় উদ্যানটির আয়তন ৯৫০ একর। এখানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার, ২টি ইকো কটেজ, ২টি গোলঘর, পিকনিক স্পট ও পুকুরের পাড় তৈরি হয়েছে।

শিশুদের বিনোদনের জন্য করা হয়েছে শিশু পার্ক আর বসার জন্য আছে অসংখ্য বেঞ্চ। তবে এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো সবুজের সমারোহ। চাইলেএকদিনেই ঘুরে আসতে পারেন সমারোহ কাদিগড় জাতীয় উদ্যান থেকে।

কীভাবে যাবেন?

ময়মনসিংহ বা ঢাকা থেকে বাসে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার সিডস্টোর বাজার বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। এরপর সিডষ্টোর-সখিপুর সড়কে অটো বা সিএনজিতে করে ৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কাচিনা পৌঁছাবেন।

jagonews24

সেখান থেকে পাকা সড়কে ২ কিলোমিটার উত্তরে পালগাঁও চৌরাস্তায় থামলেই জাতীয় উদ্যানের প্রধান প্রবেশদ্বার। সেখানে ভ্যান পাবেন। ইচ্ছে হলে হেঁটেও যেতে পারেন।

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।