মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের খরচ কত? রইলো অবাক করা সব তথ্য

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ২৯ মে ২০২৩

মাউন্ট এভারেস্ট বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত হিসেবে বিবেচিত। এটি নেপাল ও তিব্বতের সীমান্তে অবস্থিত। বিগত ৭০ বছর ধরে হাজার হাজার অভিযাত্রী চেষ্টা করছে মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার। অনেকে সফলভাবে সুউচ্চ এই পর্বতে আরোহণও করছেন। এভারেস্ট সম্পর্কিত অনেক তথ্য আছে, যা হয়তো অনেকেরই অজানা।

আজ কিন্তু মাউন্ট এভারেস্ট দিবস। নিউজিল্যান্ডের এডমন্ড হিলারি ও নেপালের তেনজিং নোরগে শেরপার অসাধারণ কৃতিত্বের সম্মানে ২৯ মে আন্তর্জাতিক এভারেস্ট দিবস পালিত হয়।

আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে নিয়ে থাইল্যান্ড ভ্রমণে ঘুরে দেখবেন যেসব স্পট

১৯৫৩ সালের ২৯ মে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতের চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য এই দু’জন মানুষ বরফ ও ঝড়ের সঙ্গে লড়াই করে এভারেস্টে জয় করে প্রথম পর্বতজয়ী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান।

এভারেস্ট সম্পর্কিত এমন অনেক তথ্য আছে যা অনেকেরই অজানা। এসব তথ্য জানলে আপনি বিস্মিত হয়ে যাবেন। রইলো মাউন্ট এভারেস্ট সম্পর্কিত অজানা কিছু তথ্য-

এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার নিয়ে সংশয় আছে!

১৮৫৬ সালে প্রথম মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতায় ৮ হাজার ৮৪০ মিটার পরিমাপ করা হয়েছিল। তারপর ১৯৫৫ সালে উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বলে জানা যায়, যা এখনও নেপালের সরকারি তথ্যে লিপিবদ্ধ আছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বের যে স্থানে সেলফি তুলতে গিয়ে মারা গেছেন অনেকেই

বিজ্ঞানীরা বর্তমানে বিশ্বের উচ্চতম পর্বতটি পুনরায় পরিমাপ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। ধারণা করা হয়, ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের পরে উচ্চতা পরিবর্তিত হতে পারে।

এভারেস্টের বয়স ৬০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি

জানা যায়, ভারতের মহাদেশীয় প্লেট এশিয়ায় বিধ্বস্ত হলে পর্বতটি তৈরি হয়েছিল। ভারতের প্লেট এশিয়ার নিচে ঠেলে দিয়েছে ও ভূমির একটি বিশাল ভর উপরে তুলেছে।

মাউন্ট এভারেস্ট প্রতি বছর প্রায় ৪৪ মিলিমিটার বৃদ্ধি পায়

টেকটোনিক প্লেটের ক্রমাগত স্থানান্তরের কারণে এটি ঘটে, হিমালয়কে উপরের দিকে ঠেলে দেয়। এ কারণেই প্রতিবছর এভারেস্টের উচ্চতা একটু একটু করে বাড়ছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বের অত্যাশ্চার্য যত জাদুঘর

মাউন্ট এভারেস্ট আসলে গ্রহের সবচেয়ে উঁচু পর্বত নয়

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বত ‘মাউনা কেয়ার’। এর উচ্চতা ১০ হাজার ২০০ মিটার। তবে মাউনা কেয়ার অধিকাংশই সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে। আর মাউন্ট এভারেস্ট সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে। এ কারণে একেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বলে বিবেচনা করা হয়।

মাউন্ট এভারেস্টকে ভুল উচ্চারণ করি আমরা

১৮৪১ সালে স্যার জর্জ এভারেস্ট দ্বারা এভারেস্ট প্রথম পশ্চিমা বিশ্ব দ্বারা স্বীকৃত হয়েছিল। একে পিক ১৫ বলা হয়েছিল। মাউন্ট এভারেস্ট নামটি ১৮৬৫ সালে স্যার জর্জ এভারেস্টের নামে নামকরণ করা হয়। তাই এটিকে ‘ইভ-রেস্ট’ উচ্চারণ করা উচিত ‘এভার’ নয়।

এভারেস্টকে মূলত নেপালিরা সাগরমাথা নাম দিয়েছিল, যার অর্থ ‘আকাশের দেবী’। যদিও তিব্বতিরা একে চোমোলুংমা বলে, যার অর্থ ‘পর্বত মাতা’। এই চূড়া আসলে একটি পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত। এ কারণে পর্বতারোহীরা শিখরে উঠতে গেলে অনুমতি নিতে হয়।

আরও পড়ুন: ভারত গিয়ে ঘুরে আসুন ছোট্ট ‘বাংলাদেশে’

মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে ২৫-৭০ হাজার পাউন্ড খরচ হতে পারে।

মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে শুধু সাহসই নয় বরং অর্থও লাগে পর্যাপ্ত। এই বিখ্যাত শিখরে আরোহণের গড় খরচ প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ কোটি ৬২ লাখ ৩৭ হাজার।

এভারেস্ট চূড়ায় উঠতে প্রায় ৩৯-৩০ দিন সময় লাগে

এর মধ্যে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে ট্রেকিং করার সময় অন্তর্ভুক্ত নয়, যা ১০-১৪ দিনের হতে পারে। এভারেস্টের চূড়ায় অনেক সময় লাগতে পারে, তার কারণ হলো শরীর চরম উচ্চতায় মানিয়ে নিতে পারে না সহজে।

সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় এভারেস্টের চূড়ায় অক্সিজেনের পরিমাণ মাত্র এক তৃতীয়াংশ। পর্বতারোহীরা সাধারণত বোতলজাত অক্সিজেন ব্যবহার করে এই উচ্চতায় ওঠেন।

মাত্র ১০ ঘণ্টা ৬৫৬ মিনিটে দ্রুততম এভারেস্ট চূড়া রেকর্ড করেন যিনি

২০০৩ সালে লাকপা গেলু শেরপা নেপালের পাহাড়ের দক্ষিণ দিক বেস ক্যাম্প থেকে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন মাত্র ১০ ঘণ্টা ৫৬ মিনিটে। যা এ পর্যন্ত রেকর্ড।

সূত্র: গ্লোবাল অ্যাডভেঞ্জার চ্যালেঞ্জেস

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।