আবারও মেয়ে হওয়ায় পুকুরে ফেলে হত্যা: মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বগুড়া শেরপুরে দ্বিতীয়বার মেয়েসন্তান জন্ম হওয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে নবজাতককে পুকুরে ফেলে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে সংগঠনটি।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামে মেয়েসন্তান জন্ম হওয়ায় তাকে পুকুরে ফেলে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে অভিযুক্ত জাকিরের সঙ্গে পাশের নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের নামা সিংড়াপাড়া গ্রামের রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের কন্যাসন্তান জন্ম হয়। জাকিরের প্রত্যাশা ছিল পরের সন্তান ছেলে হবে। কিন্তু এবারও মেয়ে হওয়ায় জাকির ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাবেয়া খাতুন ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার দ্বিতীয় সন্তান হুমাইরা খাটে নেই। বিষয়টি বাড়ির লোকজনকে জানানো হলে তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং জাকিরকে চাপ দিতে থাকে তারা। পরে জাকির হুমাইরাকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে, ঘুমন্ত শিশুকে পুকুরে ছুড়ে ফেলেন বাবা

বিবৃতিতে বলা হয়, নারী ও কন্যারা বিভিন্ন পেশা ও খেলায় সফলতা অর্জন করছে। তারা সব ধরনের পেশায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে এবং দেশের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেছে বাবা। একটি সম্ভাবনাময় কন্যাশিশুর জীবনাবসান পরিবারে, সমাজে বিদ্যমান পুরুষতন্ত্রের চরম বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আশু কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে।

একই সঙ্গে সারাদেশে সংঘটিত নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানায় মহিলা পরিষদ।

আইএইচআর/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।