ইলিশের স্যুপ ও নুডলস উদ্ভাবন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

এবার উদ্ভাবিত হলো ইলিশের মজাদার স্যুপ ও নুডলস। যা পুষ্টিমান ঠিক রেখে তাপমাত্রায় বছরব্যাপী সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলম ও তার দল দীর্ঘ দেড় বছরের গবেষণায় এ সাফল্য অর্জন করেন।

ওয়ার্ল্ড ফিশ সেন্টারের ইকোফিশ প্রকল্প ইলিশ পণ্য উদ্ভাবন ও বাজারজাতকরণ গবেষণার অার্থিক সহায়তায় এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। ইলিশের দু’টি পণ্য ভারগো ফিশ অ্যান্ড অ্যাগ্রো প্রসেস লিমিটেডের সহায়তায় বাজারজাত করা হবে।

ilish-in

আরও পড়ুন- থাই সরপুঁটি যেভাবে চাষ করবেন

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় অনুষদীয় ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের গবেষণাগারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলম। তিনি জানান, এক কেজি ইলিশ মাছ থেকে প্রায় ২৫০টি ব্লক তৈরি করা সম্ভব। প্রতিটি ব্লকের ওজন ১২ গ্রাম। প্রতিটি ব্লক থেকে একজন মানুষের খাওয়ার উপযোগী ৭০ গ্রাম নুডলস অথবা ১৬০ মিলিলিটার স্যুপ তৈরি করা সম্ভব।

ilish-in

অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলম ও তার দল ইলিশের স্বাদ-গন্ধকে অপরিবর্তিত রেখে স্যুপ ও নুডলস তৈরি করতে সক্ষম হয়। এতে ইলিশের আমিষ, অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিনের কোন ঘাটতি না রেখে মাছের কিমা, মাথা, নাড়ি-ভুড়ি ও ডিম থেকে আলাদাভাবে ফ্রিজে সংরক্ষণযোগ্য ছোট আকৃতির ব্লক তৈরি করে গবেষকদল। এই ব্লক থেকে ইলিশের মজাদার স্যুপ ও নুডলস তৈরি করা যায়।

ilish-in

আরও পড়ুন- ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘মূল্য হাতের নাগালে হওয়ায় সবাই সারা বছর ইলিশের স্বাদ পাবে। এছাড়া বিদেশে রফতানি করে ইলিশের পরিচিতি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।’

মো. শাহীন সরদার/এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।