সুস্থভাবে বাঁচতে প্রত্যেক বাড়িতে বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৩

বন বিভাগের জনবল সংকটের কারণে বনাঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। বনাঞ্চলকে রক্ষায় দ্রুত জনবল বাড়াতে হবে। যার যেখানে যতটুকু খালি জায়গা রয়েছে সেখানে নতুন নতুন বৃক্ষরোপণ করা হলে সুস্থভাবে মানুষ বেঁচে থাকতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আন্তর্জাতিক বন দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বন অধিদপ্তরের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ‘সুস্থ শরীর সুস্থ মন যদি থাকে সমৃদ্ধ বন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বন দিবস পালন করা হচ্ছে।

আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে প্রতিটি বাড়িতে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। এজন্য জাতীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। ওষুধি গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে, এ ধরনের গাছ বেশি বেশি রোপন করতে হবে। দীর্ঘদিন থেকে বন বিভাগের জনবল সংকট রয়েছে। সে কারণে বন সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত জনবল বাড়ালে বন সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

তারা বলেন, শুধু মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পক্ষে বন্ধ রক্ষা করা সম্ভব হবে না, এজন্য সকল স্তরের মানুষকে যুক্ত করতে হবে। বৃক্ষ নিধনের ভয়াবহতার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। বৃক্ষরোপণে মানুষকে উৎসাহিত ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।

jagonews24

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, বৃক্ষ রক্ষা ও বৃদ্ধিতে নারী পুরুষ সমানভাবে ভূমিকা রাখছে। আমরা শুধু বন বিভাগকে দোষারোপ করে থাকি। সাধারণ মানুষ সহায়তা না করলে বনকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। সংরক্ষিত বন যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, গাছ কেটে পরবর্তী ২০-৩০ বছর পরে সেটি কাভার করা সম্ভব হলেও পাহাড় কাটলে সেই ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব হয় না। বৃক্ষ কাটার চাইতেও পাহাড় ধ্বংস করা আরো বেশি গুরুত্ব অপরাধ। আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যারা এমন ভিন্ন পথে চলে সকলে মিলে তাদের দমন করতে হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বৃক্ষরোপণ বিষয়ে আরো সচেতনতা বাড়াতে পাঠ্য বইয়ের কারিকুলামে এ সংক্রান্ত বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তৈরি করতে বেশি বেশি বনায়ন দরকার। নিজেদের স্বার্থে ও নিজেদের রক্ষায় আমাদের বন রক্ষা করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে বন রক্ষা করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বন বিভাগের জনবল বাড়াতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। দ্রুত এ কার্যক্রম শেষ করা হবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অঞ্চলে বন বিভাগের বৃক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত থাকা নারী পুরুষদের বিক্রিত অর্থের ৪০ শতাংশ লভ্যাংশের বিভিন্ন পরিবারে চেক তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ওপো উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষণ আমির হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সারাদেশে বন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারী প্রমুখ।

এমএইচএম/এমআরএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।