আন্তর্জাতিক

হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প, নির্বাচনেও হস্তক্ষেপ

মাদক পাচারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দি হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজকে ক্ষমা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি হুমকি দিয়েছেন, তার পছন্দের প্রার্থী নাসরি আসফুরা নির্বাচনে না জিতলে হন্ডুরাসের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ হন্ডুরাসের রাজনীতিতে অভূতপূর্ব হস্তক্ষেপ হিসেবে সমালোচিত হচ্ছে।

হার্নান্দেজকে গত বছর মাদক পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আদালত । অভিযোগ ছিল, তিনি হন্ডুরাসের রাষ্ট্রপ্রধান থাকা অবস্থায় অন্তত ৪০০ টন কোকেন যুক্তরাষ্ট্রে পাচারে সহায়তা করেছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ক্ষমা ঘোষণার পাশাপাশি ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে সরাসরি হন্ডুরাসের নির্বাচনে আসফুরাকে সমর্থনের ঘোষণা দেন। তিনি লেখেন, ‘যদি সে (আসফুরা) না জেতে, যুক্তরাষ্ট্র কোনো অর্থ ব্যয় করবে না, কারণ ভুল নেতৃত্ব কোনো দেশেই ভয়ংকর পরিণতি বয়ে আনে।’

আরও পড়ুন>>ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ‘বন্ধ’, হামলার দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র!সহায়তা বন্ধের হুমকি/ জোর করেই ইউক্রেনকে শান্তিচুক্তিতে সই করাবেন ট্রাম্প?তৃতীয় বিশ্ব থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হবে: ট্রাম্প

অন্যদিকে আসফুরা ট্রাম্পের সমর্থনকে স্বাগত জানালেও হার্নান্দেজের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক অস্বীকার করেন। তার ভাষায়, ‘হার্নান্দেজ ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট, তার ব্যক্তিগত কাজের দায় দলে নেই।’

হন্ডুরাসের নির্বাচনে তিনজন প্রধান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন— নাসরি আসফুরা, বামপন্থি আইনজীবী রিক্সি মোনকাদা এবং ডানপন্থি টিভি উপস্থাপক সালভাদর নাসরাল্লা। ট্রাম্প নাসরাল্লাকে ‘ভোট বিভাজনের কৌশলকারী’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং মোনকাদাকে ‘কমিউনিস্ট’ আখ্যায়িত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডের ভাষায়, হার্নান্দেজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও সহিংস মাদক পাচার চক্রকে সহায়তা করেছিলেন।’

তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, হার্নান্দেজকে ‘অত্যন্ত কঠোর ও অন্যায্যভাবে আচরণ করা হয়েছে।’

এ ঘটনায় হন্ডুরাসের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রভাব ও বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক তীব্রতর হয়েছে।

সূত্র: এএফপিকেএএ/