হোজ্জার মজার ঘটনা: বিয়ের দাওয়াত

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ২৬ মে ২০২২

হোজ্জা, নাসির উদ্দীন হোজ্জা কিংবা মোল্লা বিভিন্ন নামে পরিচিত তিনি। তবে তার পুরো নাম নাসির উদ্দীন মাহমুদ আল খায়ী। চীনে তিনি পরিচিত ‘আফান্টি’ নামে। মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা মূলত পরিচিত তার সুক্ষ্ণ রসবোধের কারণে। তার সময়ে যেমন জনপ্রিয় ছিলেন এখনো তেমনি আছেন। এখনো তার মজার সব ঘটনা আনন্দ দেয় পাঠককে।

তবে তার পাড়ার এক লোক হোজ্জাকে সুনজরে দেখতেন না। হোজ্জা সবার কাছেই প্রিয় ছিলেন, কিন্তু হাবু সাহেবকে কেউ পছন্দ করতেন না, সেই কারণেই তিনি নাসিরুদ্দিনকে হিংসা করতেন ।

হাবু সাহেবের মেয়ের বিয়ে। পাড়ার সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছেন তিনি, কিন্তু হোজ্জাকে করেননি। হোজ্জাও জেদ ধরলেন, যেমন করে হোক বিয়ে খেতে হবে। হোজ্জার বুদ্ধি বের করতে দেরি হলো না।

একটা খামের ওপর লোকটির নাম লিখে তার ভেতরে এক টুকরো সাদা কাগজ ভরে খামখানার মুখ বন্ধ করে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন হোজ্জা। সবাই খেতে বসবে ঠিক সেই সময়েই উপস্থিত হয়ে বাড়ির মালিকের হাতে খামখানা দিয়ে বললেন, বাদশাহ এই চিঠিখানা পাঠিয়েছেন।

হাবু সাহেব খুব খুশি। স্বয়ং বাদশাহ নিশ্চয়ই মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। মনের আনন্দে তিনি হোজ্জাকে খুব খাতির-যত্ন করে খাওয়ালেন।

বেশ পেট ভরে খাওয়ার পর হোজ্জা লোকটির কাছে বিদায় নিতে গেলে তাঁর চিঠির কথা মনে পড়ল। এতক্ষণ কাজের ব্যস্ততায় খামখানা খোলার সময় হয়নি।

খামখানা খুলে তো তিনি থ! জিজ্ঞেস করলেন, হোজ্জা সাহেব, বাদশাহ তো কিছুই লেখেননি। এর মধ্যে তো রয়েছে শুধু একখানা সাদা কাগজ।

হোজ্জা বললেন, এর জবাব তো আমি দিতে পারব না। আমাকে চিঠিখানা হাতে দিয়ে পৌঁছে দিতে বললেন, আমি পৌঁছে দিয়েছি। আমার কাজ এখানেই শেষ।

লেখা: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।