রংপুরে পিস্তলসহ যুবক গ্রেফতারের ঘটনা সাজানো


প্রকাশিত: ১১:৪৬ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দেশীয় পিস্তল এবং গুলিসহ মোজাইদুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতারের ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও তার পরিবার।

রোববার দুপুরে উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের গঞ্জিপুর বাজারে স্থানীয় যুবলীগ ও এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি তোলেন তারা। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পাগলাপীর-ভিন্নজগত সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ফলে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

সমবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, খলেয়া গঞ্জিপুর ইউনিয়নে একটি বহুজাতিক কোম্পানি কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ওই কাজের উপকরণ সরবরাহের জন্য খলেয়া গঞ্জিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোজাইদুল ইসলাম বাবু ওই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এদিকে, বাবুর যোগাযোগের বিষয়টি জানার পর একই এলাকার সন্ত্রাসীদের মদদদাতা ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূলহোতা আতিকুল ইসলাম আতিক উপকরণ সরবরাহের কাজটি হাতিয়ে নিতে নানা রকম ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকধারী ৮/৯ জন লোক র্যাব পরিচয় দিয়ে গঞ্জিপুর বাজার থেকে বাবুকে গ্রেফতারের পর গঙ্গাচড়া মডেল থানায় সোপর্দ করে।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বাবুকে গ্রেফতারের পর আতিকের গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় নাটকীয়তা। প্রায় আধা ঘণ্টা পর র্যাব সদস্যরা বাবুকে গঞ্জিপুর বাজারে নিয়ে এসে প্রচার করে যে, তার কাছ থেকে একটি দেশীয় পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

বাবু একজন সাধারণ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। তাকে গ্রেফতারের ঘটনাটি সাজানো এবং অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে বক্তারা অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাবুর মুক্তির দাবি জানান। অন্যথায় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাবুর মা বুলবুলি বেগম, স্ত্রী কবিতা বেগম, রংপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজ্জাকুল নাসির, খলেয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুল শাহসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।

উলে­খ্য, উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের উত্তর খলেয়া সর্দার পাড়া গ্রামের মন্তাজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মোজাইদুল ইসলাম বাবুকে (২৮) গত শুক্রবার রাতে খলেয়া গঞ্জিপুর বাজারে ঘোরাফেরা করা অবস্থায় রংপুর র্যাব-১৩ এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, গুলি ও দুইটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় র্যাবের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সরওয়ার হোসেন বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় বাবুকে আসামি করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী সুলতান হোসেন বলেন, ঘটনার দিন বাবুকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি র্যাব। পরে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার দেখানোর ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক।

জিতু কবীর/এআরএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।