রাকসু নির্বাচন
জরিপে ভিপি-জিএস-এজিএস পদে এগিয়ে শিবিরের প্রার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের ভোট প্রবণতা ও প্রত্যাশা নিয়ে করা জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘সোচ্চার–টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’। জরিপে ভিপিসহ শীর্ষ তিন পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন বলে দেখা গেছে।
১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত এ জরিপে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ২৮৪ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ নারী, ১৩ দশমিক ২ শতাংশ অমুসলিম এবং ২ দশমিক ৩ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের পরিবহন মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এসব তথ্য প্রকাশ করে।
জরিপের ফলাফল তুলে ধরে জানানো হয়, ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন ভিপি পদে ছাত্রশিবিরের প্রার্থী বিজয়ী হবেন। তবে শিক্ষার্থীদের ১০ দশমিক ৩ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী, দুই দশমিক ৩ শতাংশ ছাত্রদল এবং এক শতাংশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রার্থীকে এগিয়ে রেখেছেন। ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী কোনো মতামত দেননি।
জিএস পদে সম্ভাব্য বিজয়ীর বিষয়ে ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাত্রশিবির, ২০ দশমিক ১ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মতামত দিয়েছেন। মতামত দেননি ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন এজিএস পদ শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী পাস করবেন। ১২ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মত দিয়েছেন।
জরিপে অংশ নেওয়া ৮৫ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কাস্ট হতে পারে ৭৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
শিক্ষার্থীরা রাকসু নেতাদের কাছে সবচেয়ে যে বিষয়গুলো প্রত্যাশা করেছেন তার মধ্যে রয়েছে আবাসন সংকট সমাধান, খাবারের মান উন্নয়ন, সহিংসতামুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস, উন্নত একাডেমিক পরিবেশ এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত নেতৃত্ব।
২১ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা নিজে ক্যাম্পাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ বলেছেন, তারা অন্যকে নির্যাতিত হতে দেখেছেন। তবুও ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী বিশ্বাস করেন, নির্বাচিত রাকসু প্রতিনিধিরা নির্যাতনমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে সক্ষম হবেন।
গবেষণা প্রতিবেদনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ‘সোচ্চার–টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’ এর প্রেসিডেন্ট ড. শিব্বির আহমদ, যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ফুয়াদ আল আবীর।
সাখাওয়াত হোসেন/এসআার/এমএস