রাকসু নির্বাচন কাল

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ

রায়হান আহমেদ
রায়হান আহমেদ রায়হান আহমেদ , নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী থেকে
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন/ছবি: জাগো নিউজ

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর)। নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ কছে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী অনাবাসিক থাকায় নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিয়ে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের প্রায় ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী হলে থাকেন। বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকেন। তবে হিসাব করলে এই সংখ্যা কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

এই অর্ধেকের বেশি সংখ্যক অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে ভোটের দিনে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হলেও অনেকের আশঙ্কা অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কম উপস্থিতি ভোটের ফলাফলেও প্রভাব ফেলতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক একজন শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ফিক্সড ভোট ব্যাংকে এগিয়ে ছাত্রশিবির। আবাসিক ও অনাবাসিক মিলে তাদের প্রায় ২ হাজার ৫০০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফিক্সড ভোট রয়েছে। এই সংখ্যক শিক্ষার্থী নিশ্চিতভাবেই ভোট দিতে ক্যাম্পাসে আসবেন। অন্যদিকে অন্যান্য প্যানেল কিংবা দলের ফিক্সড ভোট তেমন নেই, ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি ভোট দিতে না আসেন তাহলে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে।

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ

আরও পড়ুন
রাকসু নির্বাচনে ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে পুরুষ ভোটার
ভিপি, এজিএস পদে হাড্ডাহাড্ডি, জিএসে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

এ বিষয়ে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’র ভিপিপ্রার্থী শেখ নুরুদ্দিন আবির জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রচারণার সময় যখন শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছি তাদের আগ্রহ দেখেছি অনেক। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হচ্ছে, অনেকে রাকসু নির্বাচন নিয়ে ভীষণ আগ্রহী। তবে কিছু শিক্ষার্থীর অনীহা থাকতে পারে। কেউ কেউ হয়তো ক্যাম্পাসে আসতে চাইবেন না। আমরা প্রতিটি ব্যাচের ক্যাপ্টেনকে বলেছি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য, দেখা যাক কী হয়।

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’র ভিপিপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জাগো নিউজকে বলেন, হলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি হলে উপস্থিত নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সচেতন, তাদের সবার উচিত ভোট দিতে আসা। আমাদের অর্ধেকের বেশি যেহেতু বাইরে থাকেন, প্রশাসনের প্রতি কড়া নির্দেশ রয়েছে পরিবহন ব্যবস্থা যেন ভালো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও জানিয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়ে ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের ১১টি ও মেয়েদের ৬টি হল রয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সরকার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের আবাসিক সংকট রয়েছে। অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীকে বাইরে থাকতে হয়। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হলে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ খুবই জরুরি। রাজশাহী শহর ও আশপাশ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আনতে আমাদের ২৫টি বাস থাকবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আমরা ক্যাম্পাসে আনতে চাই। অন্যান্য দিন ৪টি ট্রিপে বাস চলাচল করলেও নির্বাচনের দিন ৮টি ট্রিপ থাকবে।

আরএএস/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।