রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করানোয় ঠিকাদারদের বাধা, সাংবাদিককে হেনস্তা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ১০:০৪ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সরাসরি কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করানোয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিনটি ভবনে ও একটি স্টেডিয়ামে চলমান রঙের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিকাদাররা।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রশাসন ভবন ও স্টেডিয়ামে গিয়ে জোরপূর্বক কাজ বন্ধ করে দেন তারা। একপর্যায়ে তারা প্রক্টরের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে সেটার ভিডিও করেন এক সাংবাদিক। এসময় তাকে হেনস্তা করেন কয়েকজন ঠিকাদার।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম সোহাগ আলী। তিনি চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ও দৈনিক সোনার দেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উপলক্ষে তিনটি ভবন (প্রশাসন ভবন ১, প্রশাসন ভবন ২, সিনেট ভবন) ও স্টেডিয়ামে রঙের কাজ করছে বার্জার নামের একটি কোম্পানি। এ ধরনের কাজ সাধারণত যে ঠিকাদাররা নিয়মিত কাজ করেন, তারাই দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এবার সময় খুব কম থাকায় এবং দ্রুত কাজ শেষ করার চাপ থাকায় গুণগতমান বজায় রাখার স্বার্থে বার্জার কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটি একটি চুক্তির মাধ্যমে কাজটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যারা নিয়মিত ঠিকাদারি কাজ করেন, তারা দাবি তুলেছেন, তারা সারা বছর কাজ করেন, তাই কাজটি তাদেরই দেওয়া উচিত। এই দাবিতে তারা বার্জার কোম্পানির কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। পরে প্রক্টর দপ্তরে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। সেখানে প্রক্টরের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন উপস্থিত কয়েকজন। সেটার ভিডিও করার সময় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রাবি প্রতিনিধি সোহাগ আলীকে হেনস্তা করেন কয়েকজন ঠিকাদার।

সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল তিনটি সাংবাদিক সংগঠন রাবি প্রেসক্লাব, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটি ও রাবি সাংবাদিক সমিতি।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, পুরো ঘটনাটি অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। এমন ঘটনা হওয়া উচিত ছিল না।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক সোহাগ আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরের ভেতরেই আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমার ওপর চড়াও হন কয়েকজন ঠিকাদার। যদিও অন্য কয়েকজন ঠিকাদার তাদের থামানোর চেষ্টা করেছিলেন, তবুও এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমি এ ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের দাবি জানাই।’

রং করার কাজ আগামীকাল থেকে শুরু হবে কি-না জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) থেকে রঙের কাজ পুনরায় শুরু হবে। সমাবর্তন ১৭ ডিসেম্বর। কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে।’

মনির হোসেন মাহিন/এসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।