স্মার্টফোন কিনতে ঋণ পাচ্ছে বশেমুরবিপ্রবির ১৫০৮ শিক্ষার্থী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০:১৮ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২০

করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে স্মার্টফোন কেনার জন্য ঋণ পাচ্ছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক হাজার ৫০৮ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. শরাফত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ইউজিসিকে আমরা শিক্ষা ঋণ দেয়ার জন্য মোট এক হাজার ৫০৮ জন শিক্ষার্থীর তালিকা দিয়েছিলাম। এ প্রেক্ষিতে ইউজিসির পক্ষ থেকে সফট লোন দেয়ার জন্য একটি নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ দেয়ার জন্য আগামী রোববার (১৫ নভেম্বর) একটি কমিটি গঠন করা হবে।

সফট লোনের বিষয়ে ইউজিসি থেকে প্রেরিত নীতিমালায় বলা হয়, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের যে তালিকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে, তাদেরকে ঋণের বিষয়টি যথাযথভাবে অবিহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কমিশনে প্রেরিত তালিকায় শিক্ষার্থীর নাম আছে কি-না তা পুনরায় যাচাই করে দেখতে হবে ও কমিটির সুপারিশের আলোকে ৮ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২১ এর মধ্যে দিতে হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ঋণ সম্পূর্ণ সুদমুক্ত এবং স্মার্টফোন ক্রয়ের ভাউচারটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ১০ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২১ এর মধ্যে সফট লোন অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিবের নিকট জমা দিতে হবে।

এছাড়াও নীতিমালা সম্বলিত নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালে চারটি সমান কিস্তিতে বা এককালীন পরিশোধ করতে হবে এবং ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোনো ট্রান্সক্রিপ্ট ও সাময়িক/মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।

প্রসঙ্গত, বশেমুরবিপ্রবি থেকে সর্বপ্রথম শিক্ষা ঋণের জন্য প্রায় তিন হাজার ১০০ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রদান করা হলেও ইউজিসি থেকে জানানো হয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ঋণ দেয়া হবে। এরই প্রেক্ষিতে ইউজিসিতে সর্বশেষ এক হাজার ৫০৮ শিক্ষার্থীর তালিকা পাঠানো হয়।

সুকান্ত সরকার/আরএআর/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।