ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

ক্ষতিপূরণসহ ৮ দাবি বাস্তবায়নে সাত দিনের আলটিমেটাম ছাত্রলীগের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণসহ আট দফা দাবি বাস্তবায়নে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি বিশ্ববিদ্যালয়ের গগন হরকরা গ্যালারিতে চলা আলোচনা সভায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এ ঘোষণা দেন।

৮ দফা দাবি হলো- শ্রমিকের মৃত্যুতে সংযুক্ত ঠিকাদার কোম্পানি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। বহুতল অর্থাৎ দ্বিতীয় তলার পর থেকে ওপরে জাল বা টিনের মাধ্যমে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিতে হবে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নির্মাণ সামগ্রীর গাড়ির গতিসীমার নিয়ন্ত্রণ এবং গাড়ি দিনের বেলা প্রবেশ না করানো, রাতের বেলা ও বন্ধের দিনগুলোতে দিন ও রাতে গাড়ি প্রবেশের শিডিউল নিশ্চিত করা।

উন্নয়নমূলক কাজ রাতে অথবা শিফট অনুযায়ী ভাগ করে করতে হবে। রাস্তার ওপরে রড কাটাকাটি এবং বালু, সিমেন্ট রেখে কাজ করা যাবে না। প্রকল্পের ভবনের চারপাশ আটকে দিতে হবে। শ্রমিকদের হেলমেট, পায়ে গামবুট, মুখে মাস্ক ও ওপরে কাজ করার ক্ষেত্রে লিফট, সেফটি বেল্ট, শক্ত দড়ি-মাচা ব্যবহার করতে হবে। নির্মাণ সামগ্রী প্রবেশের দরুন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে রাস্তার ধুলাবালু নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রাখতে হবে।

jagonews24

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. নওয়াব আলীসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘প্রতিটি দাবি যৌক্তিক। আমরা ঠিকাদারদের সঙ্গে অতিদ্রুত যোগাযোগ করে নিহতের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেবো। বাকি দাবিগুলো খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নির্মাণাধীন ভবনে পাইলিং করার সময় ওবায়দুর রহমান (৪০) নামের এক শ্রমিক নিহত হন। তিনি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার রূপপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।

এর আগে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মনিরুল ইসলাম (২৬) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সোচ্চার হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রুমি নোমান/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।