তিন শিক্ষার্থীকে মারধর, ছাত্রলীগকর্মী বললেন ‘কুৎসা’ রটায়েন না

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
ক্যাম্পাস প্রতিবেদক ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীরা

ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের পর ছাত্রলীগের তিন কর্মী তাদেরকে কলেজের শহীদ শামসুল আলম হল থেকে বের করে দেন বলেও দাবি ভুক্তভোগীদের।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন- কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী রাকিব, মিলন ও ফিদবী। অভিযুক্তরা সবাই কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এম ওয়াসিম রানার অনুসারী এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন- ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কাউসার, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ইমরান এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল। তাদেরকে আহত অবস্থায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কাউসার বলেন, বুধবার সকালে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের তিন কর্মী এসে আমাকে বলেন ক্যাম্পাসে প্রোগ্রাম আছে যেতে হবে। আমি তাদেরকে বললাম আমি অসুস্থ। দুপুরে আবার আমার রুমে এসে জানতে চাইলেন ক্যাম্পাসে গিয়েছি কি না? আমি না বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে থাপ্পড় মারেন। পরে রাকিব, মিলন ও ফিদবী মিলে আমাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। আমি এখন ডান কানে কিছু শুনতে পাচ্ছি না। গত ১২ নভেম্বরও আমাকে মিলন মারধর করেছেন।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের আবাসিক হলের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, আমি তাদের (অভিযুক্তদের) অনেক সিনিয়র। অথচ তারা আমাকে খুবই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আমিসহ আরও কয়েকজনকে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। না হলে মারধর করে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগকর্মী রাকিব বলেন, ঘটনা মিথ্যা। ছাত্রলীগের নামে এরকম কুৎসা আপনারা রটায়েন না। কিছু জানতে হলে আপনাকে হলে আসতে হবে।

এ বিষয়ে শহীদ শামসুল আলম হলের সুপারভাইজার প্রভাষক মো. কামরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ব্যতিক্রম হল কবি নজরুল কলেজের এই হল। এটা পুরোটাই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। এখানে কে উঠে আর কে নামে- কলেজ প্রশাসন কিছুই জানে না। সবকিছু ছাত্ররা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন শিক্ষার্থীদের কেউ যদি কলেজ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় তাহলে সেটা কলেজ প্রশাসন দেখবে।

মারধরের বিষয়ে কথা বলতে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এম ওয়াসিম রানাকে একাধিকবার কল করা হলেও তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগমকে ফোন করা হলে তিনি এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

নাহিদ হাসান/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।