সেশনজট কমাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সেশনজট কমানোর দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ৭৭তম ব্যাচের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। ডিনের আশ্বাসে দেড় ঘণ্টা পর প্রশাসনিক ভবন ছেড়ে দেন অবস্থানকারীরা।
আরও পড়ুন: র্যাম্পে হাঁটলো গরু-ছাগল
শিক্ষার্থীরা জানান, মহামারি করোনা ও অন্য কারণে প্রায় একবছর দু মাস পিছিয়ে আছেন তারা। করোনার সময় অনলাইন ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল চার মাসে সেমিস্টার শেষ করানো হবে। লেভেল-৪ এর সেমিস্টার-১ চারমাসে শেষ হলেও সেমিস্টার-২ এ ছয় মাসের কোর্স শিডিউল দেওয়া হয়েছে। এতে সেশনজট আরও বাড়বে। তাই সেশনজট কমানোর দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
অবস্থানকারী শিক্ষার্থী জামিউল আলম পরশ, ইমরান ইসলাম, কবির খন্দকার ও সাঈনুর রহমান হৃদয় বলেন, ‘লেভেল-৪ এর প্রথম সেমিস্টার যেভাবে চার মাসে শেষ করেছি, একইভাবে দ্বিতীয় সেমিস্টারও ১৩ এপ্রিলের আগে শেষ করতে চাই। আমাদের দাবির সঙ্গে বিভাগ সংশ্লিষ্টরা একমত পোষণ করলেও এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা এখনো প্রায় এক বছর দুমাসের সেশনজটে আটকা। ফলে ৪৫তম বিসিএস ধরার কথা থাকলেও তা পারিনি।
আরও পড়ুন: শীতার্তদের পাশে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আলোকিত মানুষ’
অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের একদল প্রতিনিধি কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধিদল জানায়, ডিন বুধবার সকলে কোর্স শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধান, উপাচার্যকে নিয়ে সভা করে পূর্বের রুটিন পরিবর্তন করে দেবেন। তাই বুধবার পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আশা করি আমাদের এ সেমিস্টারও চার মাসে শেষ হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, আমি ছাত্রদের বিষয়ে সবসময় ইতিবাচক। তারা যেহেতু সিনিয়র ব্যাচ, বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা বুধবার মিটিং করে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করা যায়, আমাদের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা খুশি হবে।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর ই-ডিএনএ গবেষণা অভিযানে শেকৃবির সহযোগিতা
তাসনিম আহমেদ তানিম/এসজে/এমএস