অস্বচ্ছ নিয়োগের মধ্যেই জাবি উপাচার্যের দুই বছর


প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ০৩ মার্চ ২০১৬

দেশের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে ২০১৪ সালের ২ মার্চ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)  যোগ দেন অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। তবে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের এক বছরের মধ্যেই নানা কারণে  সমালোচনায় পড়েন তিনি। যার মধ্যে নিয়োগের বিষয়টি ছিল অন্যতম।  

এছাড়াও জাবি উপাচার্য বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ, প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার অধিক প্রভাব, সঠিক সময়ে ভবন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ব্যর্থতা, সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা, শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাসীনতা ও নিরাপত্তা ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের পর জাবিতের ৯টির মত নিয়োগ হয়েছে। যা নিয়ে সারাবছর সামলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এসব নিয়োগের মধ্যে রয়েছে এক সহকারী প্রক্টরের স্ত্রী পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফর মেটিক্স বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, , উপাচর্যের একান্ত সচিব (ডেপুটি রেজিস্ট্রার) আমজাদ হোসেনের মেয়ে দিলারা হোসেনকে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে  বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উপাচার্যের একান্ত সচিব মো. ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী তাসনিমা খন্দকারকে ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের ক্যারিয়ার গাইডেন্স, উপাচার্যের কার্যালয়ের সিনিয়র স্টাফ মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. আবু হানিফকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ, উপাচার্যের একান্ত সচিব মো. ছানোয়ার হোসেনের বোন ইয়াসমিন আক্তারকে শেখ হাসিনা হলের অ্যাটেনডেন্স এবং উপাচার্যের কার্যালয়ের সিনিয়র সর্টার মো. সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সালমাকে কমনরুম অ্যাটেনডেন্স হিসেবে মাস্টার রোলে নিয়োগ, চার ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ। এছাড়াও উপাচার্যের অত্যন্ত কাছের লোক বলে পরিচিত ছাত্রকল্যাণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক রাশেদা আখতার একযোগে ১০টিরও বেশি কমিটিতে আছেন বলে জানা গেছে।
 
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নিয়ে জটিলতা সংক্রান্ত কারণে ক্যাম্পাস প্রায় দুই মাসের ছুটি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

তবে এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।  

হাফিজুর রহমান/একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।