ববির ৬ শিক্ষার্থী কারাগারে
পুলিশের উপর হামলা ও ফাস্ট ফুডের দোকানে হামলা-ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছয় শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আলী হোসাইন এ নির্দেশ দেন।
তারা হলেন, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিষ ঢালী ও ইসমাইল সরদার, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান, ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ও মো. ইমন।
মামলার বাদিরা হলেন, কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই সত্যরঞ্জন খাসকেল, ফাস্টফুড দোকানের মালিক কামরুল আহসান রুমি ও বাংলাভিশনের বরিশালের ক্যামেরাপার্সন সেলিম রেজা।
আদালত সূত্র জানায়, গত বুধবার নগরীর পুলিশ লাইন রোড হটপ্লেট ফাস্টফুডের দোকানে ওই শিক্ষার্থীরা অনাধিকার প্রবেশ করে সেখানকার সহকারী ম্যানেজার রুবেল ও কর্মচারী জামালকে মারধর করে। এরপর তারা ২৫ হাজার টাকা লুট করে। এছাড়া হামলায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হওয়ার অভিযোগ এনে হটপ্লেটের মালিক রুমি বাদী হয়ে সকালে কোতোয়ালী থানায় তার কর্মচারী সজীব ও ববির শিক্ষার্থী জিসানসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে সজীব ও জিসান পলাতক রয়েছে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে ববির শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়। এসময় এসআই সত্যরঞ্জন, কনস্টেবল ফিরোজ ও আরাফাত আহত হন। সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ করে সত্যরঞ্জন হামলাকারী শিক্ষার্থীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাংলাভিশনের ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায় ক্যামেরাপার্সন সেলিম তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, হটপ্লেটের কর্মচারী সজীব অপর কর্মচারী জামালের মোবাইল চুরি করলে তাকে কাজ থেকে বাদ দেয়া হয়। কাজ থেকে বাদ দেয়ার কারণ জানতে গত বুধবার সজীব ববির শিক্ষার্থীদের ওই দোকানে নিয়ে আসে। এসময় মালিক রুমির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডার জের ধরে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ এবং লাঠিচার্জ করে।
সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর